বিজেপির 'দরিদ্রতম' প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের প্রার্থী তালিকার পর থেকেই বার বার শিরোনামে উঠে আসে চন্দনার নাম। এমনকি প্রচারের গোড়ার দিক থেকেই সকলের নজর করেছিলেন ছোটোখাটো চেহারার মেয়েটি। কারণ এক দিন-মজুরের স্ত্রী, দুই সন্তানের মা চন্দনার দিনলিপি প্রথম থেকেই আর পাঁচজন প্রার্থীর তুলনায় ছিল অন্যরকম। পান্তা খেয়ে দিন-রাত পাড়ায় পাড়ায় প্রচার চালানো চন্দনাকে তাই ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন শালতোড়ার মানুষ।
advertisement
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে আরও একবার কৃতজ্ঞতায় গলা বুজে আসে চন্দনার। বলেন, "আমার মতো একজন গরিব মানুষকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি, এটাই অনেক।" চকচকে হলুদ-লাল মাস্কের আড়ালেও আলো ফুটে ওঠে চন্দনার চোখে-মুখে। বলেন, "একবার কলকাতায় আসতে অনেক খরচ। আমি তাও এলাম। জনগণ আমায় জিতিয়ে এনেছে তাই আসতেই হবে। "
শালতোড়ার রাস্তা-ঘাট তৈরির কাজেই প্রথম মন দিতে চান চন্দনা। ইতিমধ্যেই কাজের পরিকল্পনা নিয়ে হোম ওয়ার্ক করা বিজেপি বিধায়কের পরিকল্পনায় রয়েছে এলাকার মানুষের জন্যে যত দ্রুত সম্ভব জলের সু-বন্দোবস্ত করার পরিকল্পনাও। বিধানসভায় আরও ১৪৭ জন বিধায়কের সঙ্গে শুক্রবার শপথ বাক্য পথ করবেন চন্দনা বাউড়ি। আর আগামী পাঁচ বছর এলাকার মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হবেন বিজেপির দরিদ্রতম বিধায়ক। এলাকার আরও অনেক চন্দনার স্বপ্নপূরণের দায়িত্ব যে আজ তাঁরই হাতে।
আবির ঘোষাল