খুন করতে হাত কাঁপত না কালনার কামরুজ্জামান সরকারের। খুনের নেশা পেয়ে বসেছিল কালনার চেনম্যানকে। কিন্তু খুন করতে এক মিনিট মাত্র সময় নিত কামরুজ্জামান। পাঁচ মিনিটেই শেষ করত পুরো অপারেশন। জেরায় কামরুজ্জামানের এই স্বীকারোক্তি অবাক করেছে দুঁদে তদন্তকারীদেরও। তবে কি লুঠ নয় খুনই উদ্দেশ্য ছিল? বাড়ছে ধন্দ।
নাবালিকা হোক বা প্রৌঢ়া। বাড়িতে একা মহিলাই ছিল টার্গেট। টার্গেট পেলেই চেন আর রড দিয়ে চলত হামলা। অপারেশন শেষ হলেই এলাকা ছাড়ত সে। বেশ কিছু প্রশ্ন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
advertisement
প্রশ্ন ১--
সামান্য কিছু টাকার জন্য কেন পরপর খুন?
প্রশ্ন ২-
কেন টার্গেট নিম্ন বা নিম্ন মধ্যবিত্ত মহিলারা?
প্রশ্ন ৩--
শহর ছেড়ে কেন নিশানায় গ্রামের মহিলারাই ?
উত্তর খুঁজতে দফায়-দফায় জেরা করা হচ্ছে চেনম্যানকে। চেনম্যানের হাতে আক্রান্তদের দিয়েই কামারুজ্জামানকে সনাক্ত করাচ্ছে পুলিশ। ধরা পড়ার আগে তিরিশে মে কালনার শিঙের কোনে ফাঁকা বাড়িতে এক নাবালিকাকে খুনের চেষ্টা করে চেনম্যান। কোনওরকমে বেঁচে যায় সে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। কোমায় থাকা কিশোরীর চিকিৎসা চলছে বর্ধমান মেডিক্যালে।
কামরুজ্জামানকে নিয়ে ফের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে চায় পুলিশ।