এই ঘটনাটি প্রত্যেক বছর ঘটে বাউটিয়া অঞ্চল, নলহাটি থানার অন্তর্ভুক্ত চাচকা এলাকায়। মূলত ঝাড়খণ্ডের পাহাড়ের জল অর্থাৎ ছোটনাগপুর মালভূমি থেকে তৈরি হওয়া ত্রিপিতা নদী থেকে বয়ে আসা জলের কারণেই ডুবে যায় নলহাটির এই কজওয়ে। আর এই রাস্তাটি রয়েছে একমাত্র নলহাটি যাওয়ার জন্য রাস্তা। এর পাশাপাশি বাউটিয়া হরিদাসপুর অঞ্চলের প্রায় মোটামুটি ১০ থেকে ১২ গ্রামের মানুষজনদের যাতায়াতের জন্য একমাত্র নির্ভরশীল রাস্তায় এটি।
advertisement
সেই গ্রামগুলির মধ্যে মূলত জনবহুল গ্রাম হল ভগবতীপুর, সোনারকুন্ডু,হরিদাসপুর, এবং অন্যান্য গ্রাম। তবে এই রাস্তা ডুবে গেলে গ্রামের বাসিন্দাদের প্রায় ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার ঘুরপথে যেতে হয়। অন্যদিকে ব্রাহ্মণী ব্যারেজ থেকে আজকে দফায় দফায় জল ছাড়া হচ্ছে। আর সেই কারণেই বন্যা কবলিত এলাকার মধ্যে রয়েছে প্রায় অনেক কয়েকটি গ্রাম।
আরও পড়ুন: লাখ লাখ টাকার লটারি কেটেও ভাগ্য খুলছিল না কারও? তার পর যা জানা গেল…শিউরে উঠবেন!
জানা গেছে বৈধরা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়লে সোনারকুন্ডু,ভগবতীপুর, সিরামপুর এবং নদীর নিচের দিকে যে সমস্ত ঘাট এবং অঞ্চলগুলি রয়েছে সেগুলি পুরোটাই জলের তলায় চলে যায়। আর এই পরিমাণ জল বেড়ে যাওয়ার কারণে একদিকে যেমন এই এলাকার বাসিন্দাদের রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল পৌঁছাতে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়, ঠিক অন্য জায়গায় দাঁড়িয়ে গ্রামের কারোর আষাঢ় শ্রাবণ মাসে বিয়ের প্রস্তাব এলেও সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সৌভিক রায়





