এই ক্যামেরায় নজর এখন গঙ্গারামপুরের। কিন্তু কেন ? লোকসভা পরবর্তী সময়ে অঙ্ক বদলেছিল সতেরো ওয়ার্ডের গঙ্গারামপুর পুরসভাতেও। দাদা বিপ্লব মিত্রের মতোই গেরুয়া শিবিরে পা বাড়িয়েছিলেন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারও করে তৃণমূল কংগ্রেস। চেয়ারম্যান পদ থেকে তাঁকে সরাতেই কাউন্সিলররা অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। আদালতের নির্দেশে, আগামী পাঁচই অগস্ট আস্থা ভোট নেওয়া হবে। তার আগে পুরসভার তেরো কাউন্সিলরের বাড়িতে বসানো হল সিসি ক্যামেরা। ভাটপাড়ার ঘটনাকে উল্লেখ করে আদালতই নির্দেশ দিয়েছিল, আস্থা ভোটের আগে কাউন্সিলরদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। নির্দল চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের দাবি, নিরাপত্তার স্বার্থেই এই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পুর রাজনীতিতে নজরদারিতে এ এক নয়া কৌশল।
advertisement
একদিকে গঙ্গারামপুর পুরসভায় অনাস্থা। অন্যদিকে দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলা পরিষদ হারিয়ে, আবার সংখ্যার বিচারে এগিয়ে যাওয়া। এই দুয়ের সমন্বয় করতে বুধবার বালুরঘাটে কৌশল বৈঠক করলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আঠেরো সদস্যের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে সম্প্রতি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ন'জন। এরমধ্যে ছিলেন জেলা সভাধিপতি লিপিকা রায়। এরমধ্যে ঘরওয়াপসি হয়েছে পাঁচ জনের। কিন্তু আড়াই বছর না হলে সরানো যাবে না জেলা সভাধিপতিকে। কাউন্সিলর এবং জেলা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, সাত-দশদিনে মধ্যেই এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে যাই হোক না কেন, নজর এখন গঙ্গারামপুরে সিসি ক্যামেরার দিকেই। পাঁচ তারিখ আস্থা ভোটের আগে এই ক্যামেরাই এখন অ্যাকশনের জন্য তৈরি।