যে দোকান এই ঘটনার কথা মূল অভিযুক্ত শুভঙ্কর দীক্ষিত নামে এক দোকানদার৷ তিনি আবার পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ারও৷ যদিও এখনও ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ৷ বরং তাঁর দোকান ভাঙচুরের অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷
মর্মান্তিক এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল চিপসের প্যাকেট চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে৷ এ দিন ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে৷ সেখানে দেখা গিয়েছে, সাইকেলে করে ওই দোকানের সামনে এসে প্রথমে দোকানদারের জন্য অপেক্ষা করে ওই ছাত্র৷ তখনই দোকানের সামনে চিপসের একটি প্যাকেটের মতো কিছু পড়ে থাকতে দেখা যায়৷ কাউকে না পেয়ে দোকানের ভিতরে ঢুকেও ব্যবসায়ীকে খোঁজে ওই পড়ুয়া৷ এর পর বেরিয়ে আসার সময় মাটিতে পড়ে থাকা চিপসের প্যাকেটটি চোখে পড়ে তার৷ তখন সেই প্যাকেটটি তুলে নেয় সে৷
advertisement
অভিযোগ এর পরই মোটরসাইকেল নিয়ে ওই পড়ুয়াকে ধাওয়া করে শুভঙ্কর দীক্ষিত নামে ওই দোকানদার৷ ওই ছাত্রকে ধরে চুরির অপবাদ দেন তিনি৷ কান ধরে ওই ছাত্রকে ওঠবোস করানো হয়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলেকে বকাবকি করেন ওই ছাত্রের মা৷ মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পরই চুরির অপবাদের অপমান সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক খায় ওই ছাত্র৷ বৃহস্পতিবার সকালে তমলুক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর৷ এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা৷