স্বাদের কারণে পূর্ব মেদিনীপুরের কাজুবাদামের আলাদা জনপ্রিয়তা রয়েছে। সারা বছরই দিঘা থেকে প্রচুর কাজু রাজ্যে ও দেশের বিভিন্ন বাজারে যায়। কিন্তু অনেকেই জানেন না, দিঘার সেই কাজুতে মিশে থাকছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের কাজু।
advertisement
পূর্ব বর্ধমানে আউশগ্রাম মানেই শাল পিয়ালের গভীর জঙ্গল। সেই জঙ্গলেই রয়েছে অসংখ্য কাজুবাদামের গাছ। সেখান থেকে কাজু সংগ্রহ করেন জঙ্গলের বাসিন্দারা। দিঘা থেকে আসা ব্যবসায়ীদের কাছে সেই কাজু বিক্রি করেন তাঁরা। খুব কম দামেই সেই কাজু কেনেন ব্যবসায়ীরা। তা খাওয়ার উপযোগী করে তুলে চড়া দামে বিক্রি করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, প্রতি মাসে প্রায় ৮ থেকে ১০ কুইন্টাল পর্যন্ত কাজুবাদাম সংগ্রহ করা হয়। সেই কাজু কিনে নিয়ে যান কাঁথি, দিঘার ব্যবসায়ীরা। দিঘায় রয়েছে কাজু প্রসেসিং ইউনিট। সেখান থেকেই আউশগ্রামের কাজুবাদাম চড়া দামে বিক্রি করা হয়।
কাজু প্রসেসিং না করে খাওয়া যায় না। আউশগ্রামে কাজুর প্রসেসিং ইউনিট নেই। তাই একরকম বাধ্য হয়েই সেই কাজু জলের দরে পূর্ব মেদিনীপুরের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন আউশগ্রামের জঙ্গলের বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে পারে বনদফতর। আউশগ্রামের জঙ্গলে কত কাজু বাদামের গাছ রয়েছে, তার গড় উৎপাদন কত, সে ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিক তারা। এলাকায় বন দফতর কাজুর প্রসেসিং ইউনিট করলে জঙ্গলের বাসিন্দাদের আর্থসামাজিক পরিকাঠামোর অনেকটাই উন্নতি হবে।