নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই অভিভাবক জানিয়েছেন , ‘‘ছেলে স্কুল থেকে একদিন বাড়ি ফিরে বলে, দিদিমণি ওর প্যান্ট খুলে দিতেন। পরে আরও কয়েক জন শিশুর কাছে একই কথা জানতে পারি। বাচ্চাদের মুখে এই সব কথা শুনে আমরা হতভম্ব।’’ জানা যাচ্ছে, দুটি স্কুলের দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হওয়ার পরে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে বহরমপুর থানার পুলিশ।
advertisement
গত লোকসভা নির্বাচনের সময়ে অধীর চৌধুরীর অনুগামী থাকার কারণে বহরমপুর পৌরসভা দুই শিক্ষিকার বেতন বন্ধ করে দেয়। যার কারণে রাজনৈতিক পারদ থাকে তুঙ্গে। জানা যায়, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে কয়েক মাস ধরে ওই দুই শিক্ষিকার বেতন বন্ধ করে দিয়েছিল বহরমপুর পুরসভা। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী। তার পরেও বেতন না মেলায় ওই দুই শিক্ষিকা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালত নির্দেশ দেয় দুই শিক্ষিার বেতন মিটিয়ে দেওয়ার। কিন্তু তার পরে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। সেখানেও দুই শিক্ষিকার পক্ষেই রায় হয়। তখন পুরসভা তাঁদের বেতন মিটিয়েছে।
তাঁদের বিরুদ্ধে পকসো মামলা দায়েরের নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছেন দুই শিক্ষিকা। যদিও অভিযোগ ওঠার পর সাজানো বলে দাবি করছেন দুই শিক্ষিকা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘কোনও অভিভাবক তো আমার কাছে এমন অভিযোগ জানাননি তবে এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। এ বিষয়ে মামলা রুজু হয়ে থাকলে কোনও মন্তব্য করব না। আইন আইনের পথে চলবে।’’ শিক্ষিকার এক সহকর্মীর কথায়, ‘‘এমন কিছু হয়েছে বলে বিশ্বাস করতে পারছি না। কোথাও একটা গোলমাল হচ্ছে।’’ যদিও রাজনৈতিক চক্রান্ত বলেই দাবি করেছেন শিক্ষিকা। যদিও পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত চলছে।
Kaushik Adhikary