মা ও মেয়ে পিসি শাশুড়িকে খুন করার পর বাড়ি থেকে অস্ত্র গুলিকে কীভাবে পুকুরে ফেলেছিলেন আরতি, তাও পুনরায় দেখান। তারপর বীরেশ পল্লীর মোড় থেকে প্রথমে ভ্যান ডেকে দোলতলা মোড় এবং তারপর সেখান থেকে ট্যাক্সিতে করে কুমোরটুলি ঘাটের উদ্দেশ্যে কীভাবে ট্রলি ব্যাগে মৃতদেহ নিয়ে পৌঁছালো মা ও মেয়ে, তা পুনর্নির্মাণ করে দেখায় মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ।
advertisement
ভ্যানচালক জানান, সেদিন ভোরে ১৩০ টাকার বিনিময়ে তিনি বীরেশ পল্লী থেকে দোলতলা মোড়ে এসেছিলেন। এবং ট্যাক্সিচালক জানান, ৭০০ টাকা চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মহিলা বলেছিলেন ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। পরবর্তীতে ৬০০ টাকা ভাড়ায় তিনি কলকাতা কুমারটুলি ঘাটে যান। সবটাই আরতী ফাল্গুনী তদন্তকারীদের পুনরায় করে দেখান।
ট্রলি-কাণ্ডে পুকুর থেকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র। মঙ্গলবার সকালে মধ্যমগ্রামে সুমিতা ঘোষের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষদের বাড়ির কাছে এক পুকুর থেকে ওই অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। একই সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে একটি হাতুড়ি এবং দা, যা খুনে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। তবে যে ছুরি দিয়ে মৃতদেহ কাটা হয়েছিল, সেটির খোঁজ চলছে। খোঁজ চলছে দ্বিতীয় ট্রলিটিরও।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ধৃতদের বাড়ির কাছে একটি পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে খুনে ব্যবহৃত বঁটিটি উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে পাওয়া যায় একটি রক্তমাখা বিছানার চাদরও। পাশাপাশি, তল্লাশি করে ওই পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে হাতুড়ি আর দা-ও। তবে ধৃতদের বক্তব্য, তাঁরা দা আর হাতুড়ি ফেলেননি। সে সব তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।