দুটি ঘটনাতেই কুখ্যাত জামতাড়া গ্যাংয়ের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা বলছেন, পান্ডুয়ায় দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গিয়েই খুন হন চালক।
আরও পড়ুন- জরায়ু দু'ভাগে বিভক্ত! জটিল অস্ত্রোপচারে যমজ সন্তান প্রসব! নজির কোথায় সৃষ্টি হল
গাড়িটি নিজেদের কবজায় নেওয়াই দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য ছিল। সেই গাড়ি নিয়ে অন্য কোনও বড় অপরাধ করার পরিকল্পনা তাদের ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
advertisement
রবিবার রাতে বর্ধমানের গলসিতে চালককে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে গাড়ি নিয়ে পালায় চার দুষ্কৃতী। গলসি থানায় এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গলসি থানা।মাঝরাস্তায় চালককে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে হুগলির পান্ডুয়ায়। ওই ঘটনায় গাড়ি ছিনতাই দুষ্কৃতীদের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। একই কায়দায় গাড়ি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতেও।
রবিবার রাতে একটি ট্রাভেল সংস্থাকে ফোন করে দুর্গাপুরে যাওয়ার জন্য গাড়ি চাওয়া হয়। সংস্থাটি একটি গাড়ির ব্যবস্থা করে দেয়। সেই মতো রাত ১২টা নাগাদ কলকাতার টেগোর পার্ক এলাকায় গাড়ি নিয়ে যান কসবা থানার কেএন সেন রোডের বাসিন্দা পিয়ারিলাল গুপ্ত।
গাড়িতে ৪ জন যুবক ওঠেন। তিন জন পিছনের সিটে বসে। এক জন চালকের পাশের সিটে। যুবকদের বয়স ২০-২৫ বছরের মধ্যে। তাঁরা প্রত্যেকেই রোগা ও লম্বাটে দেখতে।
ডানকুনি টোলপ্লাজার কাছে তাঁরা একটি পাম্প থেকে গাড়িতে পেট্রল ভরেন। যুবকদের মধ্যে এক জন অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে পেট্রোলের দাম বাবদ ২ হাজার টাকা মেটান।
আরও পড়ুন- তৃতীয় লাইনে চলছে কাজ, নানা রুটে বাতিল বহু ট্রেন, জানুন তালিকা
গলসির পারাজ স্টেশন মোড়ের কাছে একটি হোটেলের কাছাকাছি গাড়ি পৌঁছনোর পর যুবকদের মধ্যে এক জন অসুস্থতার কথা বলে গাড়ি দাঁড় করাতে বলেন তিনি। সেই মতো চালক গাড়ি দাঁড় করান।
গাড়ি থেকে দু'জন নামেন। কিছু ক্ষণ পর ফিরে এসে চালকের কাছ থেকে গাড়ির চাবি কেড়ে নেন তাঁরা। অপর জন বন্দুক ঠেকিয়ে চালককে গাড়ি থেকে নামতে বলেন। ভয়ে চালক গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। তাঁর মোবাইল কেড়ে নিয়ে চার যুবক গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয়। পরে, গাড়িচালক ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
যদিও এখনও কেউ গ্রেফতার হননি। গাড়িটিও উদ্ধার হয়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তা থেকে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা গাড়ি নিয়ে রাজ্যের সীমানা অতিক্রম করে ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে গিয়েছে।
আবার পান্ডুয়ায় গাড়ি চালক খুনের ঘটনায় জড়িতরাও বিহার ঝাড়খন্ড থেকেই এসেছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তারা দুজন করে দুটি দলে ভাগ হয়ে এসে বর্ধমান স্টেশনে মিলিত হয়। সেখানেই তারা ব্যান্ডেল যাওয়ার কথা বলে সাদা স্ক্ররপিওটি ভাড়া করেছিল।
পান্ডুয়ায় জিটিরোডে তারা চালককে গুলি করে খুন করে। পাশের রাজ্যের দুষ্কৃতীদের এই দুটি ঘটনায় যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।