TRENDING:

তিলতিল করে গড়ে তুলেছিলেন গ্রামবাসীরা, বর্ষায় সেটাও গেল! কী করবেন, ভেবেই অস্থির মানুষ

Last Updated:

নিজেদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য চাঁদা তুলে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সাঁকো তৈরি করেছিলেন। সেই সাঁকো একাধিকবার গ্রামবাসীরা সংস্কারও করেছেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ক্যানিং, সুমন সাহা: একদা মধ্যযুগের দাপুটে নদী পিয়ালি। সুন্দরবনের উপর দিয়েই বয়ে চলতো। প্রাকৃতিক পরিবর্তনের কারণে পিয়ালি নদী বর্তমানে থাকলেও অতীতের সেই দাপট আর নেই। এহেন পিয়ালি নদীর দুই তীরে অসংখ্য গ্রাম। হাজার হাজার মানুষের বসবাস। নদীর দুই পারের সাধারণ মানুষ ও স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য এলাকার বাসিন্দারা পিয়ালি নদীতে খেয়া নৌকা পারাপার হয়ে যাতায়াত করতেন। তা ও আবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়হীন দড়ি বেয়ে নৌকা করে নদী পারাপার হতেন সাধারণ মানুষ।
advertisement

পরবর্তী সময়ে ২০১২ সালে গ্রামবাসীরা নিজেদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য চাঁদা তুলে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সাঁকো তৈরি করেছিলেন। সেই সাঁকো একাধিকবার গ্রামবাসীরা সংস্কারও করেছেন। এছাড়াও তৎকালীন সময়ে বিধায়ক, সাংসদ সহ বিভিন্ন দফতরে কংক্রিটের সেতুর তৈরির জন্য আবেদন করেছিলেন স্থানীয়রা। কংক্রিটের সেতু তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাসও পেয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। তবে এক যুগের অধিক সময় অবসান হলেও তা বাস্তবে রূপায়িত হয়নি। স্থানীয়রা কোনওরকমে নড়বড়ে সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছিলেন ক্যানিং-জয়নগর সংযোগকারী পিয়ালি নদীর উপর সাঁকো দিয়ে।

advertisement

আরও পড়ুন : মানুষ বিক্রি হত এখানে, তারপর ইতিহাস লিখেছিল লবণ সত্যাগ্রহ! দিঘা যাওয়ার পথে এই জায়গা দেখেছেন?

কিন্তু বুধবার রাতে আচমকা সেই নড়বড়ে সাঁকো ভেঙে পড়ে। সমস্যায় পড়েন নদীর দুই তীরের গ্রামবাসী সহ ক্যানিং, হেড়োভাঙ্গা, বদুকুলা, মেরীগঞ্জ, তিলপি, ধোষা সহ বারুইপুর, জয়নগর ও কুলতলির মানুষজন। এছাড়াও সমস্যায় পড়েছেন স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরাও। সাঁকো ভেঙে যাওয়ার ফলে তাদের স্কুলে যেতে হবে ঘুরপথে। সেক্ষেত্রে প্রায় ৫ থেকে ৮ কিলোমিটার পথ বেশি অতিক্রম করতে হবে। এছাড়াও চরম সমস্যায় পড়তে হবে রোগী ও রোগীর পরিবার পরিজনদেরকে। এহেন সমস্যা থেকে এলাকার বাসিন্দারা মুক্তি পেতে চাইছেন।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

তাঁদের দাবি, এমন অব্যবস্থার মধ্যে সরকার তাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য একটি কংক্রীটের সেতু তৈরি করে দিক। সাঁকো ভেঙে পড়া প্রসঙ্গে ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক পরেরাম দাস জানিয়েছেন,‘ সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বদুকুলার পিয়ালি নদীর উপর কাঠের সেতুর জন্য টেন্ডার হয়েছে। দুর্ভাগ্য যে নড়বড়ে সাঁকোটি ভেঙে পড়েছে। তবে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। সেতুটি যাতে কংক্রিটের তৈরি করা যায়, তারজন্য বিভাগীয় মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। বদুকুলা ছাড়াও ডাবু সহ ক্যানিং এলাকায় মোট চারটি কংক্রিট সেতুর জন্য আবেদন করা হয়েছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
তিলতিল করে গড়ে তুলেছিলেন গ্রামবাসীরা, বর্ষায় সেটাও গেল! কী করবেন, ভেবেই অস্থির মানুষ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল