তারপর ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত দু’জনকেই ফাঁসির সাজা দেয় পুরুলিয়ার ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক রমেশ কুমার প্রধান। এই বীভৎস ঘটনাটিকে বিরলতম ঘটনা বলে অ্যাখ্যা দেয় আদালত। নৃশংস ওই ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৭ সালের ১১ জুলাই। পুরুলিয়ার মফসসল থানার নদিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গলা গোস্বামীর সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যার শরীরে সূচ ফুটিয়ে দেয় তাঁর প্রেমিক সনাতন ঠাকুর। গুরুতর আহত ওই শিশুকে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে কলকাতার এসএসকেএমে পাঠানো হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় শিশুটির। সনাতন ও মঙ্গলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন- পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি অশোক গেহলট? ২৩ বছর পর দায়িত্বে গান্ধি পরিবারের বাইরের কেউ!
আরও পড়ুন- মদে আর কামে উন্মাদ, ভরা বাসে পর্যটকের কান কামড়ে গিলে নিলেন যৌনকর্মী!
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, শিশুটির মা মঙ্গলা গোস্বামীর সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত হোমগার্ড সনাতন ঠাকুরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল৷ সনাতনের কাছেই থাকতেন স্বামী পরিত্যক্তা মঙ্গলা৷ যেহেতু মঙ্গলার সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যা তাঁদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল, তাই তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দু’জন৷ পুলিশের চোখে ধুলো দিতে শিশুটিকে খুন করার জন্য তার শরীরে একের পর একে সূচ ফুটিয়ে দেয় সনাতন৷
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ওঠে। চার বছর ধরে বিচারপর্ব চলার পরে পুরুলিয়ার জেলা দায়রা আদালতের বিচারক দু’জনকে খুন ও ষড়যন্ত্রের ধারায় মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়দানের ঠিক আগের মুহূর্তে সরকারি আইনজীবী বিচারকের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন, সংশ্লিষ্ট আইনের ধারাগুলি খতিয়ে দেখে যেন অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। দুই অভিযুক্তকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ১২০বি এবং ৩২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। মঙ্গলা নিজেকে নির্দোষ বলেও দাবি করলেও শেষরক্ষা হয়নি সেবার। মৃত্যুদণ্ডের আদেশকে রদ করে এদিন যাবজ্জীবন সাজা দিল আদালত।