খুচরো বাজারে দাম নেমে যাচ্ছে পাঁচ টাকায়। দু তিন টাকার বেশি দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। মোটা টাকা খরচ করে চাষের পর এখন একরকম জলের দরেই বাঁধা কপি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- ব্যবধান ২৫ বছরের, দিল্লির অভিজাত হোটেলের দারোয়ানকে সেখানেই খাওয়াতে আনলেন ছেলে!
advertisement
এবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাঁধাকপি চাষিদের পাশে দাঁড়ালো প্রশাসন। সহায়ক মূল্যে বাঁধাকপি কিনে তা সরকারি উদ্যোগে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এরফলে কৃষকরা অনেকটাই উপকৃত হবে বলে মনে করছে প্রশাসন।
শুক্রবার জামালপুরে সবজি জমি পরিদর্শন করেন জেলাশাসক আয়েষা রানি এ সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাঁরা চাষিদের সঙ্গেও কথা বলেন। কৃষকরা তাঁদের সমস্যার কথা জানান। বলেন, দাম না থাকায় লোকসান করেই বাঁধাকপি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।
এর পরই জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়,মাঠে গিয়ে ৮ টাকা দাম দিয়ে বাঁধাকপি কেনা হবে। সেই বাঁধাকপি সুফল বাংলা স্টল ও হুগলির সিঙ্গুরে পাইকারি বাজারে পাঠানো হবে। এই কাজ করবে কৃষি বিপণন দফতর।
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েষা রানি বলেন, এর আগে পূর্বস্থলী থেকে প্রশাসনিক উদ্যোগে ফুলকপি কেনা হয়েছে। জামালপুরে গিয়ে বাঁধাকপির বিষয়টি নজরে এসেছে। সুফল বাংলার জন্য ওই বাঁধাকপি কেনার কথা হয়েছে।
শুক্রবার জামালপুরে দুয়ারে সরকার প্রকল্প দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতরের সচিব ওঙ্কার সিংহ মিনা। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক সহ আধিকারিকরা। ফেরার পথে বাঁধাকপি জমিতে যান সচিব। বেশ কয়েকটি জমি পরিদর্শন করে চাষিদের সঙ্গে কথা বলেন। তখনই কৃষকরা তাঁদের সমস্যার কথা জানান।
এর পরেই সচিব জামালপুর ব্লক কৃষি আধিকারিককে বাজার নিয়ন্ত্রিত সমিতির মাধ্যমে ন্যায্য দামে কৃষকদের কাছ থেকে বাঁধাকপি কেনার নির্দেশ দেন। এর পরেই জেলা প্রশাসন ঠিক করে ৮ টাকা দরে বাঁধাকপি কেনা হবে। আপাতত জামালপুরের চাষিদের কাছ থেকেই কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।