শাসকদল চাইলেও বিরোধীদলগুলির অনেকেই এই আইন মেনে নিতে পারেননি আজও। তারা মনে করছে এই আইনের ফলে ভারতীয় নাগরিকত্ব বাদ যাবে বহু আমজনতার। তবে শাসকদলের অভিমত, দেশ থেকে কাউকে বাদ দেওয়া নয় বরং এই আইন চালু করে দেশের নাগরিকদের সুরক্ষিত করাই মূল লক্ষ্য।
একের পর এক নেতা খুন! ‘আইন-শৃঙ্খলার ভার কি শুধু ওসিদের উপর?’ গর্জে উঠলেন মমতা!
advertisement
জবা ফুল ফুটবে টবেও! মানুন এই ৯টি নিয়ম, প্রতি দিন পুজোর ফুলে উপচে পড়বে গাছ!
সি.এ.এ তে আবেদন করতে আসা স্মৃতি বিশ্বাস নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “খুবই ভাল লাগছে এটা করাতে আমাদের সাহস বাড়ছে এছাড়াও আমাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ এতে ভালো হবে। আমি চাই সবাই সামনে এগিয়ে আসুন। এটি আমাদের মোদি সরকার ভালোর জন্যই করছে। এই বিষয়ে আমাদের সকলেরই সচেতন হওয়া উচিত।”
এ বিষয়ে রানাঘাট উত্তর-পূর্বের বিজেপি বিধায়ক অসীম বিশ্বাস বলেন, “গত দশই অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে আমার বিধানসভার বিধায়ক কার্যালয়ের পাশে সি.এ.এ ক্যাম্প। প্রচুর মানুষের আগমন ঘটছে সেখানে। মানুষ স্বেচ্ছায় আসছেন এই আহবানে সাড়া দিয়ে। যেহেতু কিছুদিনের মধ্যেই SIR চালু হয়ে যাবে, বিহারের যে বিষয়টা আছে সেটাকেই সামনে রেখে প্রত্যেকেই সি.এ.এ তে নাম নথিভুক্ত করবার জন্য তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।”
যদি এ বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস, শান্তিপুর তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী জানান, “এই ক্যাম্পের মাধ্যমে উনি কি করতে চাইছেন কি করতে চাইছেন না সেটা তো আমার পক্ষে বলা সম্ভব হবে না। যেমন ধরুন অশোক কীর্তনীয়া আমাদের বিজেপির বিধায়ক আমার কলিগও বটে, উনি ২০০২ এর যে ভোটার তালিকা বেরিয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে সেখানে ওনার বাবা-মায়ের নাম নেই। এর আগের ৯৩ সালের তালিকায় নাম রয়েছে। এবার উনি একজন এমএলএ, তাহলে ভাবুন সাধারণ মানুষকে কতটা হেনস্থা হতে হবে! সাধারণ মানুষের এই হেনস্থা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
নিঃশর্ত নাগরিকত্বের জায়গায় প্রত্যেকটা পদক্ষেপে শর্ত চাপানো হচ্ছে। আর এতদিন পরে সি.এ.এ ক্যাম্প কেন, প্রায় এক বছরের বেশি সময় চলে গেছে, আসলে তার কারণ SIR করতে গিয়ে যেই সমস্যাগুলি তৈরি হবে সমস্যাগুলোতে যাতে ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব না পড়ে তাই এটা একটা আইওয়াশ করা হচ্ছে।”