গৃহবধূর তৈরি মোমবাতির মধ্যে অন্যতম আকর্ষণ – লাড্ডু গ্লাস মোমবাতি, লাড্ডু মোমবাতি ও জলে ভাসমান ফ্যাশন ক্যান্ডেল। শুধু তাই নয়, এখানে পাওয়া যায় ১৪ প্রদীপের হাতে আঁকা প্রদীপের সেট, যা দীপাবলিতে ঘরের শোভা দ্বিগুণ করে দেয়। শুধু দীপাবলি নয়, সারা বছর জুড়েই ‘ক্যান্ডেল হাট’-এ তৈরি হয় বিভিন্ন থিমের মোমবাতি ও উপহারসামগ্রী। যেমন জামাইষষ্ঠীতে ‘জামাইষষ্ঠী থালি’ কিংবা পুজো উপলক্ষে বিশেষ সুগন্ধি ধূপকাঠি সেট। প্রতিটি সামগ্রীর মধ্যেই ফুটে উঠেছে রঙ তুলির নিপুণ কারুকাজ ও হাতে আঁকা অঙ্কনচিত্র। সম্প্রতি দীপাবলিকে সামনে রেখে ইতি নতুন সংযোজন করেছেন ‘মোম প্রদীপ’। যা দেখতে ঐতিহ্যবাহী প্রদীপের মতো হলেও এর ভিতরে থাকে মোম, ফলে তা দীর্ঘক্ষণ জ্বলে।
advertisement
ইতি রানাঘাট কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে তিন বছর সেলস ডিপার্টমেন্টে চাকরি করেছেন। এরপর নিজের উদ্যোগে শুরু করেন মোমবাতির ব্যবসা। পাশাপাশি তিনি প্রাইভেট টিউশনও দেন। তাঁর এই উদ্যোগ তাঁকে কেবল স্বাবলম্বী করেনি বরং পরিবারের পাশাপাশি গোটা সমাজকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।
বিয়ে হয়েছে মাত্র সাত মাস আগে। স্বামী বিক্রম মণ্ডল কৃষিকাজের পাশাপাশি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত। ইতির কথায়, শ্বশুরবাড়ির সকলে তাঁকে যথেষ্ট সমর্থন ও উৎসাহ দেন। বর্তমানে দীপাবলিকে ঘিরে হাজার হাজার পিস মোমবাতির অর্ডার এসেছে তাঁর কাছে। দেশ-বিদেশে পাঠানোর জন্য চলছে ব্যস্ত প্রস্তুতি। স্থানীয় অর্ডার থাকলে তিনি নিজেই সরবরাহ করে দেন। পাইকারি ও খুচরো- দু’ভাবেই বিক্রি হয় তাঁর পণ্য। কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবস্থাও রয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ইতির মতে, ‘একাগ্রতা ও পরিশ্রম থাকলে এই ব্যবসা থেকে ভাল মুনাফা করা সম্ভব। এতে একটি পরিবার অনায়াসে সচ্ছলভাবে চলতে পারে’। আধুনিক টুনি বালবের যুগেও তাঁর হাতে আঁকা রঙিন প্রদীপ আবার ফিরিয়ে আনছে উৎসবের ঐতিহ্য ও আলোর উজ্জ্বলতা। দীপাবলিতে এবার শান্তিপুরের বাতাসে শুধু আলো নয়, মিশে আছে সুগন্ধি মোমবাতির মিষ্টি গন্ধ- ইতি সাধুখা মণ্ডলের স্বপ্নপূরণের সুরভি।