মা পৌলোমী বসু রায় জানান, মেয়ে ছোটবেলা থেকেই নানা বিষয়ে আগ্রহ ছিল। তবে ইউটিউব দেখে অদ্রিকার মাথায় আসে দক্ষিণ ভারতীয় বাহারি আইসক্রিমের স্টল দেওয়ার। সে নিজেও আইসক্রিম লাভার পাশাপাশি আইসক্রিম খেতে আসা মানুষজন কে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার ফলোয়ার করানোর লক্ষ্য নিয়েই রীতিমতো জেদ এমনকি কান্নাকাটির পর্বও চলে। তবে অবশেষে মেয়ের এই আবদার পূরণে এগিয়ে আসে বসু রায় পরিবার। সেই মতো ব্যবস্থা করে এখন বাড়ির সামনেই মেয়ের আবদারে দেওয়া হয়েছে বাহারি আইসক্রিমের স্টল। আর সেখানেই এখন স্কুলের সময় বাদ দিয়ে, দিনের বেশিরভাগ সময় কাটাচ্ছে খুদে ব্যবসায়ী অদ্রিকা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পাইন-ধুপির জঙ্গলে সঙ্গীকে নিয়ে ভিজুন বৃষ্টিতে, বর্ষায় চূড়ান্ত রোম্যান্টিক পাহাড়ি এই হ্যামলেট
মা নিজেও মেয়ের এই উদ্যোগ দেখে, ইতিমধ্যেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি দই বরার স্টল দিয়েছেন মেয়ের পাশে। মাত্র কয়েক দিনের এই ব্যবসায় এখন রীতিমতো নানা দামের আইসক্রিমের নাম মুখস্ত করে ফেলেছে সে। দোকানে আসা ক্রেতাদের হাতে চাহিদা অনুযায়ী তুলে দিচ্ছে আইসক্রিম। গুণে গুণে পয়সা নিয়ে রাখছে ব্যাগে। মিষ্টি হাসি মুখের খুদে, অদ্রিকার এই দোকানে এখন তাই পাড়া-প্রতিবেশীরাও ভিড় জমাচ্ছে বাহারি আইসক্রিমের স্বাদ নিতে। খুদের এমন উদ্যোগকে রীতিমত কুর্নিশও জানাচ্ছেন সকলে। তবে দোকান সামলালেও পড়াশোনায় কিন্তু খামতি দিচ্ছে না সে, দোকানের চেয়ারে বসেই, বই নিয়ে চলছে পড়াশোনা। সব মিলিয়ে বছর সাতেকের এই খুদে দোকানদার নজর কাড়ছে সকলের।
Rudra Narayan Roy