সবজি বোঝাই গাড়িটির চালক ও খালাসি মিলিয়ে আহত ছ' জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাসের সাতজন যাত্রীও গুরুতর আহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। আহতদের বেশ কয়েকজনকে চণ্ডীপুর হাসপাতাল এবং জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাস ও সবজি গাড়ির পাশাপাশি আরও দু'টি গাড়িও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। দুর্ঘটনার জেরে দিঘা-নন্দকুমার জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা। আটকে পড়েন বহু পর্যটকও৷
advertisement
আরও পড়ুন: ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বাসে আগুন, রাজস্থানে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত অন্তত ১১
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেলারকে টপকে যাওয়ার সময়ই দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ব্যস্ত এই রাস্তার উপরে যত্রতত্রই দাঁড়িয়ে থাকে গাড়ি। তার জেরে দুর্ঘটনা লেগে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশের নাকের ডগায় জাতীয় সড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকছে গাড়ি। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ কিংবা প্রশাসন, কেউই এসব নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না। যে কারণে দুর্ঘটনা লেগে রয়েছে জেলার জাতীয় এবং রাজ্য সড়কে।
আরও পড়ুন: গাড়ি চালকদের জন্য বড় খবর! এই নথি না থাকলেই ১০ হাজার টাকা জরিমানা, হতে পারে জেলও...
তবে এই দুর্ঘটনায় স্থানীয় নিত্যযাত্রী থেকে গাড়িচালক একাংশের দাবি, দিঘা নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কের বেশিরভাগ অংশই বেহাল। রাস্তাটির সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এই রুটে প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে বাস গুলির নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। যার জেরে খারাপ রাস্তার সময় পূরণ করতে রাস্তা ভালো পেলে গাড়ির গতিবেগ বাড়ান বাসচালকরা। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। এই জাতীয় সড়কে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। গাড়িচালক থেকে নিত্যযাত্রীরা চাইছেন রাস্তাটি দ্রুত সম্প্রসারণের কাজ শেষ করুক প্রশাসন।