দেশভাগের সময় একজন মহিলা নিজের সংসার চালাতে হন্যে হয়ে ঘুরেছেন, শেষমেষ হাওড়া বেলুড়ে নিজের পাড়ায় একটি ছোট্ট দোকান দিয়েছিলেন। সারা বছর বিভিন্ন সময় কখনও রঙ, সামান্য খাদ্য সামগ্রী এবং কালী পুজোর সময় বাজি কিনে বিক্রি করেছেন, বিভিন্ন সময়ে নানা পথ অবলম্বন করেছেন সংসারের চাকা ঘোড়াতে।
advertisement
বুড়িমার বাজি কিনতে তার বাড়িতে ভিড়
সেই সময় বাজার থেকে বাজি কিনে পাড়ায় বিক্রি শুরু করেন। তারপর নিজে বাজি তৈরি করার আগ্রহ দেখান। অল্প অল্প করে বাজি তৈরি করে বিক্রি করতে শুরু করেন। এরপর বুড়ির তৈরি বাজি বাজারে বেশ চাহিদা হয়ে ওঠে।
তারপর ক্রমশ চাহিদা বেড়ে বর্তমান সময়ে রীতিমত বাজির জগতে বিখ্যাত একটি ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে সারা বছর বাজি কমবেশি চাহিদা থাকলেও দুর্গা পুজোর পর থেকে দারুণ চাহিদা বাড়ে বুড়িমা’র কোম্পানির তৈরি বাজি।
হাওড়া বেলুড়ের বাসিন্দা বুড়িমার বসতবাড়িতে এই সময় প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষ আসে বাজি সংগ্রহ করতে। সকাল ন’টা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত বুড়িমার বাড়ি থেকে বাজি বিক্রি করা হয়। বর্তমানে বুড়িমার বাড়িতে ১২ সদসসের বাস। তারা রীতিমত এই কালীপুজোর বাজির উৎসবে ক্রেতাদের হাতে বাজি তুলে দিতে হিমশিম খেয়ে যান। যদিও এবারে অতিবৃষ্টির যে বাজি প্রস্তুত করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। তাই নতুন খুব বেশি ভ্যারাইটিজ এবার সম্ভব হয়নি।
বুড়িমার বাজি বলতে একসময় চকলেট বা শব্দবাজি বিখ্যাত। সেই বাজি মানুষের মন ছুয়ে গেছে মানুষকে অনেক বেশি আনন্দ দিয়েছে। তার সুবাদেই বুড়িমার জনপ্রিয়তা। বর্তমানে বুড়িমা ব্যান্ডে আলো এবং আকাশ ডিসপ্লে অসংখ্য ভ্যারাইটিজ বাজি পাওয়া যায়। সেই সমস্ত বাজে নিতেই মানুষের আগ্রহ দারুন।
এ প্রসঙ্গে বুড়িমার প্রপৌত্র সুমিত দাস জানান, তিনি চতুর্থপুরুষ। এবার অতি বৃষ্টির কারণে পুজোর আগে বাজির বাজার কিছুটা মন্দা দেখা দিয়েছে। তবে কালীপুজোর দিন কয়েক আগে থেকে পুরনো ছন্দে বাজি সংগ্রহের আগ্রহ দেখাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
Rakesh Maity