বর্ধমান শহরের গোলাপবাগের পাশেই রাজ আমলের বিশাল জলাশয় কৃষ্ণসায়র। সেই কৃষ্ণসায়র পরিবেশ কাননে প্রতি বছর জানুয়ারির শুরুতে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহা, বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র সরকার প্রমুখ।
advertisement
কৃষ্ণসায়র উৎসব কমিটির সভাপতি তথা বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস বলেন, " এই উৎসবের মরশুমে বর্ধমান জুড়ে নানা মেলা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম এই কৃষ্ণসার উৎসব। ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ১০ দিন ধরে এই উৎসব চলবে। শুধু শহরের বাসিন্দারা নয়, বাইরে থেকেও অনেকে এই উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে আসেন। এ বারও দর্শকদের ভিড় উপচে পড়বে বলে আমরা আশা করছি।"
আরও পড়ুন : খুব তাড়াতাড়ি কার্ডিও ভাসক্যুলার অ্যান্ড থোরাসিক সার্জারি চালু হতে চলেছে বর্ধমান মেডিক্যালে
উৎসবের দিনগুলিতে থাকছেন নামী দামি শিল্পীরা। বুধবার অর্থাৎ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে থাকছে বাংলা ব্যান্ড ত্রিতান। ৫ জানুয়ারি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে বাংলা ব্যান্ড আলোকবর্ষ। ৬ জানুয়ারি থাকছে বাংলা ব্যান্ড মহাকাব্য। ৭ জানুয়ারি অতিথি শিল্পী হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পল্লব ভট্টাচার্য ৮ জানুয়ারি বীরভূমের বাউল শিল্পীরা ছাড়াও থাকছে বাংলা ব্যান্ড সংবেশা।
আরও পড়ুন : 'আমার ছেলের আর বাড়ি আসা হল না', মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে শোকস্তব্ধ মেধাবী শাকিলের মা
৯ জানুয়ারি পুরুলিয়ার ছৌ নৃত্যের সঙ্গে থাকছে বাংলা ব্যান্ড টিম আন্তরিক। ১০ জানুয়ারি অতিথি শিল্পী লগ্নজিতা সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। ১১ জানুয়ারি থাকছে বাংলা ব্যান্ড ব্লু উইংস। ১২ জানুয়ারি অর্থাৎ উৎসবের শেষ দিন থাকছে বাংলা ব্যান্ড সপ্তার্ণব দত্ত অ্যান্ড ফ্রেন্ডস এবং বাংলা ব্যান্ড তারনিম। এই দিন উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ আতশবাজি প্রদর্শন।১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে নৌকো বাইচ প্রতিযোগিতা। তার আগে প্রতিযোগীদের নিয়ে বর্ধমান টাউন হল থেকে কৃষ্ণসার পাক পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হবে।