আর্থিক তছরুপের মামলায় তদন্তের স্বার্থে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহাকে ১৮ জুন তলব করেছিল সিআইডি। নির্দিষ্ট করা দেওয়া সময়েই হাজির হন প্রাক্তন উপাচার্য। তবে তিনি এই বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অভিযোগ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল প্রায় দু কোটি টাকা।
অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ারআগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ টি ফিক্সড ডিপোজিট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের সই নকল করে টাকা তুলে নেওয়া হয়। ফিনান্স অফিসার ও রেজিস্ট্রারের সই নকল করে ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তরিত করে নেওয়ার অভিযোগ উঠে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়।
advertisement
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে,বর্ধমানের একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে ২১.৫৫ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙানোর চেষ্টা করা হয়। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সন্দেহ হওয়ায় নিয়মানুযায়ী স্বাক্ষরকারীর স্বাক্ষর সংক্রান্ত সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ধরনের কোনও অ্যাডভাইসড্ নোট ইস্যুই করে নি। এরপরই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বর্ধমান থানায় এফআইআর করে। বিশ্ববিদ্যালয়ও অনান্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্ট সম্বন্ধে জানতে চায়। তাতেই জানা যায়, বর্ধমান শহরের জেলখানা মোড়ের একটি রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাঙ্কের শাখা থেকে তিনটি ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙিয়ে অন্য অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এরপরই তৎকালীন রেজিস্ট্রার সুজিত কুমার চৌধুরি বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীকালে তদন্তভার নেয় সিআইডি। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। সেই ঘটনার তদন্তে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হল।
