Iran Nuclear Weapon: ইরানের সবচেয়ে বড় শক্তি--ফরদো! মাটির নীচে ইরানের রহস্যময় পৃথিবী! কেউ চাইলেও ধ্বংস করতে পারবে না! কী আছে সেখানে জানেন? শুনে চমকে উঠবেন

Last Updated:
Iran Nuclear Weapon: ইরানের পবিত্র শহর কোমের কাছাকাছি স্থানে এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পারমাণবিক স্থাপনাটি অবস্থিত। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে আসার পর থেকে এর আসল প্রকৃতি ও পরিসর নিয়ে ব্যাপক জল্পনাকল্পনার শুরু হয়।
1/10
পাহাড় কেটে ঢুকে পড়েছে পাঁচটি সুড়ঙ্গ, পাশে দাঁড়িয়ে বিশাল এক কাঠামো, আর চারপাশে সুপ্রসারিত নিরাপত্তাপ্রাচীর—ইরানের ফরদো জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের সাম্প্রতিক একটি স্যাটেলাইট ছবিতে এমনই দেখা গেছে।
পাহাড় কেটে ঢুকে পড়েছে পাঁচটি সুড়ঙ্গ, পাশে দাঁড়িয়ে বিশাল এক কাঠামো, আর চারপাশে সুপ্রসারিত নিরাপত্তাপ্রাচীর—ইরানের ফরদো জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের সাম্প্রতিক একটি স্যাটেলাইট ছবিতে এমনই দেখা গেছে।
advertisement
2/10
ইরানের পবিত্র শহর কোমের কাছাকাছি স্থানে এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পারমাণবিক স্থাপনাটি অবস্থিত। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে আসার পর থেকে এর আসল প্রকৃতি ও পরিসর নিয়ে ব্যাপক জল্পনাকল্পনার শুরু হয়।
ইরানের পবিত্র শহর কোমের কাছাকাছি স্থানে এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পারমাণবিক স্থাপনাটি অবস্থিত। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে আসার পর থেকে এর আসল প্রকৃতি ও পরিসর নিয়ে ব্যাপক জল্পনাকল্পনার শুরু হয়।
advertisement
3/10
এই স্থাপনাটি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যত তথ্য পাওয়া গেছে, তার বেশিরভাগই মিলেছে কয়েক বছর আগে ইজরাইলি গোয়েন্দাদের চুরি করে আনা ইরানের গোপন নথি থেকে।
এই স্থাপনাটি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যত তথ্য পাওয়া গেছে, তার বেশিরভাগই মিলেছে কয়েক বছর আগে ইজরাইলি গোয়েন্দাদের চুরি করে আনা ইরানের গোপন নথি থেকে।
advertisement
4/10
এর মূল কক্ষগুলো মাটির নিচে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ মিটার (প্রায় ২৬০ থেকে ৩০০ ফুট) গভীরে। এত গভীরে এর অবস্থান হওয়ায় ইজরাইলের যে কোনও বিমান থেকে সেখানে বোমা দিয়ে ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব।
এর মূল কক্ষগুলো মাটির নিচে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ মিটার (প্রায় ২৬০ থেকে ৩০০ ফুট) গভীরে। এত গভীরে এর অবস্থান হওয়ায় ইজরাইলের যে কোনও বিমান থেকে সেখানে বোমা দিয়ে ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব।
advertisement
5/10
পরমাণু ইস্যুতে ওয়াশিংটন-তেহরান পরোক্ষ আলোচনার মধ্যে গত শুক্রবার ভোরে ইরানে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইজরাইল। দেশটির দাবি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে যা তাদের দেশের ‘অস্তিত্বের হুমকি’ তৈরি করবে।
পরমাণু ইস্যুতে ওয়াশিংটন-তেহরান পরোক্ষ আলোচনার মধ্যে গত শুক্রবার ভোরে ইরানে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইজরাইল। দেশটির দাবি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে যা তাদের দেশের ‘অস্তিত্বের হুমকি’ তৈরি করবে।
advertisement
6/10
কিন্তু ইরানের এই পরমাণু গবেষণাকেন্দ্রের মূল কক্ষগুলো মাটির নিচে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ মিটার (প্রায় ২৬০ থেকে ৩০০ ফুট) গভীরে। এত গভীরে এর অবস্থান হওয়ায় ইজরায়েলের যে কোনও বিমান থেকে সেখানে বোমা দিয়ে ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব।
কিন্তু ইরানের এই পরমাণু গবেষণাকেন্দ্রের মূল কক্ষগুলো মাটির নিচে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ মিটার (প্রায় ২৬০ থেকে ৩০০ ফুট) গভীরে। এত গভীরে এর অবস্থান হওয়ায় ইজরায়েলের যে কোনও বিমান থেকে সেখানে বোমা দিয়ে ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব।
advertisement
7/10
ইজরায়েলের হামলায় ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, ফরদোতে ইরান তাড়াহুড়া করে মজুদকৃত ইউরেনিয়াম থেকে পারমাণবিক বোমা বানানোর চেষ্টা করতে পারে। ইজরায়েল এই কেন্দ্র লক্ষ্য করে সম্প্রতি হামলা চালালেও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার মতে, তারা এখন পর্যন্ত এই স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি, নয়তো এমন ইচ্ছা প্রকাশ করেনি।
ইজরায়েলের হামলায় ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, ফরদোতে ইরান তাড়াহুড়া করে মজুদকৃত ইউরেনিয়াম থেকে পারমাণবিক বোমা বানানোর চেষ্টা করতে পারে। ইজরায়েল এই কেন্দ্র লক্ষ্য করে সম্প্রতি হামলা চালালেও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার মতে, তারা এখন পর্যন্ত এই স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি, নয়তো এমন ইচ্ছা প্রকাশ করেনি।
advertisement
8/10
২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এক যৌথ ঘোষণায় প্রথমবারের মতো ফরদোর অস্তিত্বের কথা প্রকাশ করেন। তখন ওবামা বলেছিলেন, ‘এই কেন্দ্রের আকার ও গঠন এটির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সঙ্গে মেলে না।’
২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন এক যৌথ ঘোষণায় প্রথমবারের মতো ফরদোর অস্তিত্বের কথা প্রকাশ করেন। তখন ওবামা বলেছিলেন, ‘এই কেন্দ্রের আকার ও গঠন এটির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সঙ্গে মেলে না।’
advertisement
9/10
সম্প্রতি প্রকাশিত আইএইএর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইরান ফরদো স্থাপনায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের উৎপাদন ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। সেখানে বর্তমানে ২ হাজার ৭০০টি সেন্ট্রিফিউজ রয়েছে বলে আইএইএ ও বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন। আইএইএ গত ৩১ মে দাবি করেছে, ‘ইরান একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন দেশ, যারা এত বেশি পরিমাণে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে খুব বড় উদ্বেগ তৈরি করেছে।’
সম্প্রতি প্রকাশিত আইএইএর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইরান ফরদো স্থাপনায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের উৎপাদন ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। সেখানে বর্তমানে ২ হাজার ৭০০টি সেন্ট্রিফিউজ রয়েছে বলে আইএইএ ও বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন। আইএইএ গত ৩১ মে দাবি করেছে, ‘ইরান একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন দেশ, যারা এত বেশি পরিমাণে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে খুব বড় উদ্বেগ তৈরি করেছে।’
advertisement
10/10
আইএসআইএস নামের একটি চিন্তক প্রতিষ্ঠান বলছে, ইরান ফরদো পারমাণবিক স্থাপনায় মাত্র তিন সপ্তাহে ২৩৩ কেজি অস্ত্রমান ইউরেনিয়াম তৈরি করতে পারে, যা ৯টি পারমাণবিক বোমার জন্য যথেষ্ট। ইসরায়েলের মার্কিন দূত ইয়েচিয়েল লেইটার যুক্তরাষ্ট্রকে কিছুটা উসকে দিয়েছেন। তাঁর ভাষ্য হচ্ছে, ফরদোতে আকাশ থেকে বোমা মারার মতো শক্তিশালী বোমা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আছে। এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকেই, তারা এ কাজ করবে কি না।’
আইএসআইএস নামের একটি চিন্তক প্রতিষ্ঠান বলছে, ইরান ফরদো পারমাণবিক স্থাপনায় মাত্র তিন সপ্তাহে ২৩৩ কেজি অস্ত্রমান ইউরেনিয়াম তৈরি করতে পারে, যা ৯টি পারমাণবিক বোমার জন্য যথেষ্ট। ইসরায়েলের মার্কিন দূত ইয়েচিয়েল লেইটার যুক্তরাষ্ট্রকে কিছুটা উসকে দিয়েছেন। তাঁর ভাষ্য হচ্ছে, ফরদোতে আকাশ থেকে বোমা মারার মতো শক্তিশালী বোমা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আছে। এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকেই, তারা এ কাজ করবে কি না।’
advertisement
advertisement
advertisement