পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, মালদা, ২৪ পরগণা এলাকা জুড়ে ছিল তাঁর জমিদারি৷ এত অগাধ সম্পত্তি থাকলেও মনে সুখ ছিল না ব্রজেন্দ্রলালের। তিন কন্যা থাকলেও পুত্র সন্তান ছিল না তাঁর। দেবীর কাছে নিজের দুঃখের কথা বলেছিলেন। পরে স্বপ্নাদেশে দেবী তাঁকে পুজো করার নির্দেশ দেন৷ এরপরেই ব্রজেন্দ্রলালের পুত্র সন্তানের জন্ম হয়৷
advertisement
আরও পড়ুন: মহাষষ্ঠীর ১৫ দিন আগে থেকে শুরু হয়ে যায় শেওড়াফুলি রাজবাড়ির দুর্গা পুজো!
এখানে দুর্গা-সহ অনান্য কারও হাতেই অস্ত্র থাকে না৷ দুর্গা এখানে হরগৌরী৷ দেবী এখানে দ্বিভূজা৷ কারও হাতে অস্ত্র নেই৷ সিংহ নেই৷ দুর্গা ও শিব ষাঁড়ের পিঠে৷ লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী থাকলেও নেই মহিষাসুর৷ আর তাই নেই মোষের কাটা মুণ্ডও৷ দুর্গা এখানে সৌম্য রূপ৷ কোনও বলি দেওয়া হয় না৷ অষ্টমীর দিন এখনও মাটির ১০৮টি প্রদীপ জ্বালানো হয়৷
জমিদারি আমলের পুজোর জৌলুস হারালেও নিয়মের কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। পরিবারের সদস্যরা বলেন, ''সেদিন কতটা আড়ম্বরের সঙ্গে পুজো হত, এই বিশালাকার বাড়ি তা বুঝিয়ে দেয়। আগে এলাকার সবাই আমাদের এই পুজোকে ঘিরে মেতে উঠতেন৷ অষ্টমী পুজোর সন্ধ্যায় বা দিনে যখনই হোক না কেন, এখান শঙ্খ চিলের দেখা মিলবেই৷''
আরও পড়ুন: জরাজীর্ণ রাজ হাভেলি আলো করে পটেশ্বরী দুর্গা, বর্ধমান রাজবাড়িতে পুজো হয় ৯ দিন ধরে
পরিবারের সদস্যরা জানালেন, আগে পুজোয় মহালয়ার সময় থেকেই লোকেদের আসা যাওয়া শুরু হয়ে যেত৷ সেই সময় থেকেই সবারই খাওয়ার ব্যবস্থা থাকতো৷ এখন শুধু নবমীর দিন প্রতিবেশী-সহ নিমন্ত্রিত কিছু লোকজন খাওয়ানো হয়৷ জমিদার বাড়ির পুজো দেখতে প্রতিদিনই এখানে অনেকেই ভিড় জমান৷ পুজোর সময় আলোয় আলোয় গোটা জমিদার বাড়িটাই একট অন্য চেহারায় ধরা দেয়৷