বর্ধমান রাজবাড়ি সংলগ্ন সোনাপট্টিতে রয়েছে লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ মন্দির। সেখানেই রয়েছে সাড়ে তিনশো বছরেরও পুরনো রাজা রানির রথ। রাজা মহতাবচাঁদের আমলে ছিল পাঁচ তলার রথ।এখন তা অনেক ছোট হয়ে গিয়েছে। এখানে দু'টি রথ রয়েছে। একটি রাজার রথ। অন্যটি রানির । রাজার রথ আগে ছিল রুপোর। এখন কাঠের। রানির রথ পfতলের। এখানে রথে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা থাকেন না। বদলে রাজার রথে উঠে বসেন গোপাল, রানির রথে লক্ষ্মীনারায়ণ।
advertisement
আগে এই রথের জাঁকজমকই ছিল আলাদা। এই রথের রশিতে টান পড়ার পরই বর্ধমানের বাকি রথের যাত্রা শুরু হত। প্রথা মেনে মহারাজকুমার প্রণয়চাঁদ মহতাব এই রথের সেবায়ত।
এই রথ রাজবাড়ি চৌহদ্দির মধ্যেই থাকে। আগে রথযাত্রা উপলক্ষে বিরাট মেলা বসত। হাজার হাজার লোক আসত।গমগম করত চারদিক।সেসব অস্তমিত হয়েছিল আগেই। করোনার অভিশাপে মেলা বসছেই না।রাজবাড়ির লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত উত্তম মিশ্র জানান, 'এখানে আগে যে দু'টি রথ ছিল তার একটি রূপোর। অন্যটি পিতলের।রুপোর রথে আর নেই। ভিতরে এখন থাকে কাঠের রথ।একটি রথে থাকেন গোপাল। অন্যটিতে লক্ষীনারায়ণ জিউ। এবারেও এখানেই প্রথম রথের রশিতে টান পড়ল। বাকি শহরে তারপর। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে গতবারের মতো এবারও ভক্তদের মধ্যে স্নানজল বিতরণ বন্ধ রয়েছে।'
এ বারের রথযাত্রা আড়ম্বরহীন হওয়ায় মন মরা ভক্তদের অনেকেই। তবে তাঁরা বলছেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে অনেক কিছুই মেনে নিতে হচ্ছে। রথযাত্রার উৎসব তাই বন্ধ থাকল। সুস্থ থাকলে আগামী বছরগুলিতে ধুমধামের সঙ্গে রথযাত্রা পালন করা যাবে।