কাটোয়ার বাস দুর্ঘটনার পর বাসের ছাদে যাত্রী ওঠা আটকাতে জেলাজুড়ে বিশেষ অভিযান চলছে। কাটোয়ার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিস সুপার কামনাশিস সেন। তাঁর নির্দেশে আগাম সতর্কতা হিসেবে কাটোয়া মহকুমার স্কুল বাসগুলির ফিটনেস সার্টিফিকেট আছে কিনা জানতে চেয়ে স্কুলগুলিকে চিঠি দিয়েছে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, এ ব্যাপারে স্কুলগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকলে করিয়ে নিতে বলা হচ্ছে।
advertisement
পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিস সুপার কামনাশিস সেন বলেন, " রাস্তার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পর্যাপ্ত আলো নেই। যার ফলে রাতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হচ্ছে। ওই সমস্ত জায়গায় হাইমাস্ট আলো বসানোর জন্য পূর্ত দফতরের সঙ্গে কথা বলা হবে। দুর্ঘটনা রুখতে জেলার বিভিন্ন জায়গায় বাসমালিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক চলছে। তাছাড়া রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলা হবে। বেশ কিছু জায়গার গার্ড ওয়াল ঠিক নেই। রাস্তার খারাপ অংশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঠিক করে নিতে হবে। কোথায় কটা খারাপ গার্ডওয়াল আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : ভোর তিনটের সময় পৌঁছন আনাজ বেচতে, ১০২ বছর বয়সেও তাঁর ভাণ্ডার নিয়ে অমলিন লক্ষ্মীবালা
কাটোয়া-বোলপুর রোডে মাত্র চারদিনের ব্যবধানে দু'টি যাত্রিবাহী বাস ভয়ানক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পুলিশ সুপার ওই দুই দুর্ঘটনাস্থলের পাশাপাশি কাটোয়া মহকুমার কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট সহ বিভিন্ন দুর্ঘটনা প্রবণ সড়ক পরিদর্শন করেন। কাটোয়া বোলপুর রোডের একাধিক জায়গায় গার্ড রেলিং ভেঙে - গিয়েছে। যেগুলি মেরামত জরুরি। পুলিশ সুপার সেসব দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এছাড়াও কিছু জায়গায় সঠিক গার্ডওয়াল নেই। কালভার্টগুলির অবস্থাও বেহাল।
আরও পড়ুন : সামনেই পৌষ সংক্রান্তি, ক্ষীরের মিষ্টির খোঁজে দোকানে ভিড় ক্রেতাদের
এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, শুধু বাস নয়, দুর্ঘটনা আটকাতে হলে পূর্তদফতর ও পরিবহণ দফতরকেও যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। একাধিক রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ বাঁকগুলিতে পর্যাপ্ত আলো নেই। শীতকালে কুয়াশার কারণে বাঁক দেখতে পান না চালকরা। এর জন্য পূর্ত দফতরের আলোর ব্যবস্থা করা উচিত।