মেলা মানে ঠিক তেমনই যেন মাটির পুতুল। একটা সময় ছিল, যখন প্রতিটা মেলাতেই দেখা মিলত মাটির পুতুলের পসরা সাজিয়ে বসা ব্যবসায়ী তথা কুম্ভকারদের। কিন্তু বর্তমানে আধুনিকতার সঙ্গে কোথাও পাল্টে গিয়েছে সেই চেনা ছবি। এখন অধিকাংশ মেলাতে আর মাটির পুতুলের দেখা পাওয়া যায় না বললেই চলে। তবে আজও সেই মাটির পুতুল কে আঁকড়ে বেছে আছেন অনেক শিল্পী। তেমনই একজন শিল্পী হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার দাঁইহাটের বাসিন্দা শ্যাম পাল। পেশায় মৃৎশিল্পী এই ব্যক্তির বয়স ষাট পেরিয়েছে। তবুও এই বয়সেও তিনি আজও রথের মেলার জন্য মূর্তি তৈরি করেন। এই প্রসঙ্গে শ্যাম পাল বলেন, “ছোট থেকে এই কাজ করছি, কোথাও শিখিনি। বিভিন্ন ধরনের মূর্তি তৈরি করি। তবে এখন রথের জন্য মাটির জগন্নাথ , ঘোরা, গোপাল, পাখি সহ আরও বেশ কিছু জিনিস তৈরি করছি। ৩০ বছর ধরে এই কাজ করে আসছি। যতদিন কাজ করতে পারব , ততদিন মূর্তি তৈরি করবো।”
advertisement
আরও পড়ুন : রথে হাজার হাজার জগন্নাথ পাড়ি দেবে বর্ধমানের এই জায়গা থেকে
জানা গিয়েছে দাঁইহাট এর বাসিন্দা এই মৃৎশিল্পী বিগত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে যুক্ত এই কাজে। আগে রথের আগে মূর্তির চাহিদা মেটাতে রীতিমত হিমসিম খেতে হততাঁকে। তবে এখন আগের থেকে বিক্রি কমেছে অনেকটাই। তবুও কোথাও যেন পুরানো অভ্যাস আর ভালোলাগার তাগিদে তিনি ছাড়তে পারেননি এই কাজ। রথের মেলায় আর আগের মতমূর্তির চাহিদা নেই।
আরও পড়ুন : ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান? বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে দারুণ সুযোগ, জানুন
কিন্তু তাতে কি! আজও এই বয়সেও মাটির জগন্নাথ, বলরাম সুভদ্রা সহ নানা মূর্তি বানাচ্ছেন শ্যাম বাবু। জানা গিয়েছে এই মূর্তি গুলি নিয়ে রথের দিন দাঁইহাটের জগন্নাথ তলায় বসবেন তিনি। কিছুটা বিক্রিবাটা হবে বলেও আশাবাদী প্রবীণ এই মৃৎশিল্পী।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তাই রথের আগে বর্তমানে জোরকদমে চলছে তাঁর মূর্তি তৈরির কাজ। শ্যাম বাবুর হাতে তৈরি মাটির জগন্নাথ মূর্তি , গোপাল, লোকনাথ যেন সত্যিই নজরকাড়া।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী