জানা গিয়েছে, পয়লা নভেম্বর মেমারি এক নম্বর ব্লকের পাল্লা রোড এলাকায় কৃষ্ণকান্ত কোলে নামে এক ব্যক্তি পথ দুর্ঘটনায় মারা যান। ২ নভেম্বর বর্ধমান মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়না তদন্ত হয়। মৃতের পরিবারের দাবি ময়না তদন্ত করার জন্য মর্গের কর্মী মৃতের পরিবারের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না চাইলে দেহ না দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
advertisement
মৃতের ছেলে মিলন কান্তি কোলের দাবি, এই নিয়ে তুমুল কথা কাটাকাটি। শেষে দু হাজার টাকা দিতে রাজি হই। তাতে ওই কর্মীরা দেহ সেলাই না করে কাটাছেঁড়া অবস্থাতেই দেহ দিয়ে দিতে চায়। ওই অবস্থায় দেহ নিয়ে যাওয়া অসম্ভব বুঝে মোট সাড়ে ৩ হাজার টাকা দিতে হয়। ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি মুখ্যমন্ত্রী, জেলাশাসক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, জেলার মুখ্য অধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করে সেই কমিটির রিপোর্ট আসার পর অভিযুক্ত কর্মী ও অভিযোগকারী পরিবারকে বসিয়ে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য করেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কৌস্তভ নায়ক।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়, ফের কলা নবগ্রামের এক বাসিন্দা জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এক মহিলা অভিযোগে জানান, তাঁর স্বামী দিলীপ চক্রবর্তীর মৃতদেহের ময়না তদন্তের জন্য প্রথমে ভ্যান ভাড়া বাবদ দেড় হাজার টাকা চাওয়া হয়। তিনি ৭০০ টাকা দেন এরপর ময়নতন্ত্রের জন্য ফের এক হাজার টাকা দাবি করা হয়। তিনি দেহ পেতে ৮০০ টাকা দিতে বাধ্য হন। বেআইনিভাবে টাকা আদায়ের এই জুলুমবাজি বন্ধ করার জন্য জেলা শাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিজয় ভট্টাচার্য নামে এক যুবকও। তাঁর অভিযোগ, এক পরিচিতের মৃত্যুর পর হাসপাতাল মর্গ থেকে দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য পাঁচশ টাকা দিতে হয়েছে।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কৌস্তব নায়েক বলেন, ময়না তদন্ত করার জন্য কোনও টাকা দাবি করা যাবে না। প্রয়োজনে অফিসে এসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল কর্মীদেরও সতর্ক করা হয়েছে।এই ঘটনা কাম্য নয়।