বর্ধমান শহরে হাউসিং ফর অল প্রকল্পে সুবিধা কারা পাবেন, সেই তালিকা আগেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। তাঁদের তা জানিয়েও দেওয়া হয়। টাকা যে পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত ধরে নিয়েই অনেকেই বাড়ি ভেঙে বিপাকে পড়ে গিয়েছিলেন। কারণ কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে হাউসিং ফর অল প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছিল। এই প্রকল্পে কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথ হবে টাকা দেয়।কেন্দ্রীয় সরকার সেই টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যার মধ্যে পড়েন উপভোক্তারা।
advertisement
বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র সরকার বলেন, কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় এই প্রকল্পে বাড়ি করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়ে এই প্রকল্পের টাকা পাঠিয়েছে। তা খুব তাড়াতাড়ি উপভোক্তদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।
আরও পড়ুন : শিশুদের আঁকড়ে প্রাণভয়ে ছুটছেন মায়েরা, চরম আতঙ্ক বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগে
উপভোক্তারা বলছেন, "বাড়ি তৈরির জন্য মাটির ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু টাকা না আসায় কাজ থমকে যায়। বর্ষায় ত্রিপল খাটিয়ে তার তলায় মাথা গুঁজতে হয়েছে। এখন শোনা যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি টাকা মিলবে। অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢুকলেই কাজ শুরু করে দেব।"
আরও পড়ুন : দোরগোড়ায় পায়েসের গন্ধ! বাড়ির সামনে গাছ থেকে উদ্ধার বিরল প্রাণী
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হাউসিং ফর অল প্রকল্পের জন্য উপভোক্তাকে পঁচিশ হাজার টাকা দিতে হয়। বাড়ি ভাঙার পর ওই টাকায় তাদের কাজ শুরু করতে হবে। সেই কাজের ছবি নির্দিষ্ট পোর্টালে আপলোড করার পর তা খতিয়ে দেখা হয়। যেই ছবি ও তথ্য অনুমোদন পেলে উপভোক্তারা ধাপে ধাপে টাকা পাবেন এটাই নিয়ম। আবার কেউ অনিয়ম করলে টাকা আটকে দেওয়া হয়। টাকা পাওয়ার পর কেউ কাজ না করলে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে এফআইআর পর্যন্ত করতে পারে।