এই বিষয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের অধ্যক্ষা মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা অঙ্গদানের অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম করলাম। অঙ্গদান একটা মহৎ কাজ। মৃত্যুর পরে চোখ দেওয়া যায়। ব্রেন ডেথ হয়ে গেলে আরও অনেক অঙ্গ দেওয়া যায়। হার্ট, কিডনি, লাংস, লিভার, স্কিন এরকম প্রতিটা অঙ্গ আমরা দিতে পারি। একটা জীবন আমরা বাঁচাতে পারি। মৃত্যুর পর একটা মানুষের দু’টো চোখ দিয়ে অন্য ব্যক্তির দৃষ্টি ফেরানো যায়। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আজ জনসাধারণকে সচেতন করা হল।”
advertisement
আরও পড়ুন: ফের বৃষ্টির অ্যালার্ট! ঘণ্টাখানেকে দক্ষিণের ‘এক’ জেলা ভাসতে চলেছে, ৬ ঘণ্টায় বিপদের আশঙ্কা!
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের প্রধান সুমন্ত ঘোষ মৌলিকের কথায়, ”এই অঙ্গদান বিষয়ে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। শুধুমাত্র দান হিসেবে নয়, অঙ্গদান সকলের কর্তব্যের মধ্যে রাখা প্রয়োজন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির অঙ্গদানের ফলে, অপর কোনও ব্যক্তির জীবন বাঁচানোও সম্ভব। আপনার অঙ্গের দ্বারা নতুন জীবন ফিরে পেতে পারে অপর কোনও ব্যক্তি। স্কিন, কিডনি, লিভার, লাংস-সহ শরীরের আরও বিভিন্ন অঙ্গ দান করা যেতে পারে।
তবে কেউ যদি অঙ্গদান করতে চান, তাহলে তিনি কীভাবে অঙ্গদান করবেন? বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের প্রধান সুমন্ত ঘোষ মৌলিক বলেন, “যিনি সচেতন হয়ে অঙ্গদান করতে চাইবেন তিনি আমাদের বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তা করতে পারেন। নোটো, রোটো, সোটো অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে পাওয়া যাবে প্লেজ ফর্ম। সেই ফর্ম ফিলাপ করে জমা দিলে একটা রিসিপ্ট দেওয়া থাকবে। যে ব্যক্তি ফর্ম ফিলাপ করবেন পরবর্তীতে তাঁর মৃত্যু হলে তাঁর বাড়ির লোক সেই খবর দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এদিন শনিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের নার্স হোস্টেল থেকে এই র্যালি শুরু হয়েছিল। উক্ত র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল-সহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এছাড়াও ছাত্রছাত্রী-সহ স্বাস্থ্যকর্মী এবং নার্সিং স্টাফদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী