দক্ষিণবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল বর্ধমান মেডিক্যাল। শুধু পূর্ব বর্ধমান জেলা নয়, পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদের একটা বড় অংশের বাসিন্দা এই হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। রোগী আসে বিহার ঝাড়খণ্ড থেকেও। সব সময় রোগীর ভিড়ে ঠাঁসা হাসপাতাল। আর সেই সুযোগে হাসপাতালে ঘাঁটি গেড়েছে দালাল চক্র। হাসপাতালের আউটডোরে টিকিট কেটে দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বেড পাইয়ে দেওয়া... সবেতেই সক্রিয় দালালরা। অভিযোগ, দালালদের উপযুক্ত দক্ষিণা না দিলে রক্ত পরীক্ষা থেকে এক্স-রে... কোনও কিছুরই ডেট মেলেনা। দিনের পর দিন ঘুরে ঘুরে রোগীর অবস্থা আরও কাহিল হয়ে পড়ে। অভিযোগ, সঠিক দালাল না ধরতে পারলে এই হাসপাতালে ভর্তি হওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
advertisement
রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, এই দালালদের সঙ্গে এক শ্রেণীর কর্মী ও চিকিৎসকেরও যোগ সাজশ রয়েছে। এই হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে দালাল চক্র সক্রিয় থাকার অভিযোগ বরাবরের। এত নিরাপত্তারক্ষী, এতো সি সি টিভি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও দালালদের কেন চিহ্নিত করা যাচ্ছে না ? এই প্রশ্নই তুলছেন রোগীর আত্মীয়রা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, রোগীর চাপের সুযোগ নিচ্ছে দালালরা এই অভিযোগ আমরা পেয়েছি। হাসপাতালে পরিষেবা পেতে যে বাড়তি টাকা লাগে না তা জানানোর পাশাপাশি দালালদের চিহ্নিত করতেই প্রচার চালানো হচ্ছে।
Saradindu Ghosh