মোবাইল-নির্ভর আধুনিক জীবনে যখন শৈশবের পৌরাণিক কাহিনীগুলি ভুলতে বসেছে নতুন প্রজন্ম, ঠিক সেই সময় দ্বাপর যুগের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশকে তুলে ধরেছেন বর্ধমান খালুইবিল মাঠ গুড শেড রোড জিটি রোড সার্বজনীন পুজো কমিটি। ৬৩’তম বর্ষে তাদের এ বছরের থিম ভাবনা বাঁশের শয্যায় দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ।
আরও পড়ুনঃ জেলার সবচেয়ে বড় পুজো! বাজেট ৭০ লক্ষ, বীরভূমে বসছে ‘ইন্দ্রের রাজসভা’? কীভাবে যাবেন? রইল খুঁটিনাটি
advertisement
পূর্ব বর্ধমান জেলার শিল্পীরাই তাদের নিপুণ হাতের জাদুতে গড়ে তুলেছেন এই মণ্ডপ। মণ্ডপে প্রবেশ করলেই আপনি পৌঁছে যাবেন বাংলার এক গ্রাম্য পরিবেশে। যেখানে চারিদিকে শুধু প্রকৃতির ছোঁয়া আর মণ্ডপও গড়ে উঠেছে প্রাকৃতিক জিনিস দিয়েই। মণ্ডপে নেই কোন কাপড় বা বাটাম শুধুমাত্র বাঁশ জিনিস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই মণ্ডপ। মণ্ডপের যত ভিতরে প্রবেশ করবেন আপনি হারিয়ে যাবেন এক অন্য জগতে। কারণ একদিকে গ্রাম বাংলার চিত্র অন্যদিকে পৌরাণিক কাহিনি একই সঙ্গে ফুটে উঠেছে এই মণ্ডপে। পুজোর উদ্যোক্তারা জানান, আমরা বর্ধমানের শিল্পীদেরই তুলে ধরতে চাই। তাই এবছরের পুরো মণ্ডপ তৈরি করেছেন বর্ধমানের শিল্পীরা।
আরও পড়ুনঃ দেবীর পুজো কীভাবে সম্ভব! ফুলের বাজারে আগুন ছুটছে, হাত দিলেই লাগছে ছ্যাঁকা, মাথায় হাত কমিটিগুলোর
প্রায় ২০ লক্ষ টাকা বাজেটে গড়ে উঠেছে এই মণ্ডপ যা মন জয় করে নিয়েছে বর্ধমানবাসীর। গ্রাম বাংলার চিত্র ও মহাভারতের কাহিনী নজর কেড়েছে সকলের। একদিকে এই মণ্ডপে তুলে ধরা হয়েছে বর্ধমান জেলার শিল্পীদের কাজ অন্যদিকে বাঁশের শয্যায় দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের পর্ব। এটি কেবল একটি পুজো মণ্ডপ নয়, এটি যেন বর্তমান প্রজন্মকে ঐতিহ্যের প্রতি ফেরানোর এক নীরব আহ্বান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পরিবেশবান্ধব বাঁশের কারুকার্যে বর্ধমানের শিল্পীরা শুধু একটি কাঠামো তৈরি করেননি, তাঁরা হারিয়ে যাওয়া শৈশবের পৌরাণিক কাহিনিগুলিকে নতুন করে বাঁচার সুযোগ করে দিলেন। এই শিল্পকর্মই প্রমাণ করে যে, প্রযুক্তির ভিড়েও শিকড়ের টান আজও কত গভীর!