দুর্গাপুজোর বাজেট এখন হাজার থেকে কোটিতে ঠেকেছে। তা শুধু কলকাতাতেই নয়, বর্ধমান ও শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরেও থিম পুজোর রমরমা বেড়েছে। এই প্রতিযোগিতার কারণেই ক্লাবগুলির মধ্যে কে কত বেশি আকর্ষণীয় প্রতিমা এবং মণ্ডপ তৈরি করতে পারে, তার এক অলিখিত লড়াই চলে। আর এই আর্টিস্টিক প্রতিমা ও মণ্ডপ দেখতেই পুজোর সময় দর্শনার্থীদের লম্বা লাইন পড়ে ক্লাবগুলিতে।
advertisement
এই প্রতিযোগিতার বাজারে বর্ধমানের শিল্পী সিদ্ধার্থ পাল তাঁর ভিন্ন ধারার প্রতিমা তৈরি করে বিশেষভাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি সাবেকি প্রতিমার বাইরে গিয়ে সম্পূর্ণ অন্য ছন্দে প্রতিমা তৈরি করেন। থিম পুজোর চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর তৈরি প্রতিমার কদরও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, “আমি প্রতিমা তৈরি করা শিল্পীর ঘরের ছেলে কিন্তু প্রথমে আর্টটা শিখেছিলাম আর্টিস্টিক কাজ, সিমেন্ট ও ব্রোঞ্জ দিয়ে কাজ করব বলে। থিম পুজো আসার পরে আটিস্টিক ঠাকুরের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠাকুর তৈরির দিকে এসেছি। আমি যে ধারায় কাজ করি সবাই সেই ধারায় কাজ করে না। তাই অনেকেই ড্রইং করতে করতেই ঠিক করেন এই কাজটা করলে সিদ্ধার্থর তৈরি ঠাকুর আনব।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমান যুগে থিম পুজোর প্রতিযোগিতার মধ্যে সাবেকি প্রতিমার বাইরে নতুন কিছু তৈরি করার এই প্রবণতা বর্ধমানের শিল্পী সিদ্ধার্থ পালকে আরও বেশি জনপ্রিয় করে তুলেছে। থিম পুজোর জগৎ-এ তাকে দিয়েছে এক বিশেষ পরিচয়।