প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দ্বিতীয় পর্যায়ে আবাস ও ক্লাসের প্রথম দফায় বাড়ি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। সেই বাড়িগুলি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির টাকা দু-একদিনের মধ্যেই উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাওয়ার কথা। ৮০ দিনের মধ্যে এই বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তাই কাজ শুরুর ক্ষেত্রে ইট যাতে কোন বাধা না হয় তা নিশ্চিত করতে তৎপর প্রশাসন।
advertisement
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অবৈধভাবে তৈরি হওয়া ইটভাটাগুলিকেও অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে তার জন্য ইটভাটার মালিকদের রাজস্ব দিতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় নথিও তৈরি করে নিতে হবে। সরকারি বা খাস জমিতে তৈরি হওয়া ইটভাটাগুলি অনুমোদন পাবে না।
আরও পড়ুন : ১৮ বছর বয়সেই মাদক কারবারের চাঁই! উদ্ধার কয়েক লক্ষ টাকা, ব্রাউন সুগারের উপকরণ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অবৈধ ইটভাটাগুলি চিহ্নিত করে ইতিমধ্যে নোটিস পাঠানো হয়েছে। ওই সমস্ত ইটভাটা মালিকদের প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কালনা, খণ্ডঘোষের মতো বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক এরকম ইটভাটা রয়েছে। এ ছাড়া অনেক বৈধ ইটভাটা মালিক রাজস্ব জমা দেয়নি। বকেয়া রাজস্ব আদায়ে জোর দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন : নজিরবিহীন! সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন ফাঁস আটকাতে মাধ্যমিক নিয়ে বড় পদক্ষেপ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের
জানা গিয়েছে,বিডিও, বিএলএলআরও ও থানার ওসিদের নিয়ে টিম তৈরি করা হবে। তাঁরা ইটভাটাগুলিতে পরিদর্শনে যাবেন। জেলায় ১৯১টি বৈধ ইটভাটা রয়েছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর নতুন পোর্টাল তৈরি করেছে। সেই পোর্টালে সমস্ত ইটভাটার নাম নথিভুক্ত করা হবে। অতিরিক্ত জেলাশাসক ইউনিস রিসিন ইসমাইল বলেন, " নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হবে। নতুন পদ্ধতিতে রাজস্ব বাড়বে।"