মৃত যুবতীর বাড়ি রায়নার দেবীবরপুরে। বর্ধমানের মিরছোবা এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে রায়নার পলাশনের এক ব্যক্তির সঙ্গে ওই যুবতীর পরিচয় হয়। সেই পরিচয় পরবর্তী সময়ে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের রূপ নেয়। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় ওই যুবতী আর ওই ব্যক্তির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখছিলেন না। অভিযোগ, সেই আক্রোশেই ওই ব্যক্তি ওই যুবতীর কিছু আপত্তিকর ছবি অনেকের ফোনে পাঠিয়ে দেন। ওই যুবতীর বন্ধু এবং পরিচিতদের ফোনে সেই সব ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন: ট্রেনে রাখা ব্যাগের ভিতর কিচির মিচির শব্দ! খুলতেই চোখ কপালে বন দফতরের
মৃতার স্বামীর দাবি, এই ঘটনায় ওই যুবতী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁরই জেরে রাতে সবাই ঘুমিয়ে থাকার সুযোগ নিয়ে তিনি ওড়নার ফাঁসি আত্মঘাতী হন। সকালে তাঁর ঝুলন্ত অচৈতন্য দেহ উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: স্নানের দৃশ্য ভাইরাল কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য! প্রেমিকের ব্ল্যাকমেল? জেরা চণ্ডীগড় পুলিশের
মৃত যুবতীর বাবা দাবি করেছেন, মেয়ের কিছু আপত্তিকর ছবি মোবাইলে ছড়িয়ে দেওয়ায় সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। তারই জেরে সে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসেছিল। পুলিশকে সব কিছু বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে। এব্যাপারে বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হচ্ছে। বর্ধমান থানার পুলিশ জানিয়েছে, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে ঘটনা তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই যুবতী আত্মঘাতী হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেই ব্যক্তির খোঁজ চালানো হচ্ছে। অভিযোগ সঠিক কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।