#ফ্রেজারগঞ্জ: বুলবুলের দাপটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণের অঞ্চল গুলি ভীষণ ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। বিশেষ করে ফ্রেজারগঞ্জ, মৌসুমী দ্বীপ ও পাথরপ্রতিমা থানা এলাকার জি প্লট ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। মূলত ফ্রেজারগঞ্জ এলাকা ঝড়ের দাপটে দুমড়ে-মুচড়ে যায়, পাকা বাড়ি ছাড়া কাঁচা বাড়ি যা ছিল সবকিছুই ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। বুলবুল হয়েছে কুড়ি দিনের বেশি হল কিন্তু এখনও পর্যন্ত এলাকাতে ত্রাণ সামগ্রী ঠিকমতো পৌঁছায়নি। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, সরকার থেকে রেশন এর মাধ্যমে এবং পঞ্চায়েতের মাধ্যমে দান সামগ্রী মানুষের কাছে পৌঁছলেও সেগুলো পর্যাপ্ত নয়।
advertisement
ফ্রেজারগঞ্জ এলাকার ৯০ শতাংশ মানুষ মৎস্যজীবী। এ বছর ইলিশ মাছ না হওয়ার ফলে মৎস্যজীবীদের মধ্যে আর্থিক অনটন পুজোর আগে থেকেই ছিল। বুলবুলের ভয়ানক আঘাত প্রতিটি মানুষের আর্থিক এবং সামাজিক সংকট তৈরি করেছে।
ঝড়ে যেমন অর্থকরী গাছ, ফলের গাছ, ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। তেমনভাবেই পুকুরে গাছের পাতা পড়ে পচন ধরায় মরছে মাছ। প্রতি গ্রামে তিন থেকে চারটি নলকূপ। পুকুরের জল স্নান, রান্নাবান্না, কাপড় কাচার জন্য ব্যবহৃত হয়। দূষিত পুকুরের জল থেক ছড়াচ্ছে চর্মরোগ।
বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চাল-ডাল-আটা এবং পোশাক দিয়ে যাচ্ছে গ্রামের মানুষ গুলোকে দেওয়ার জন্য। মানুষের অভিযোগ, ওই সংস্থা গুলো ব্যবহার করা পুরানো জামা কাপড় দান করছে। আশঙ্কা চর্মরোগ কিম্বা সংক্রমিত কোন রোগ ছড়িয়ে পড়ার।
সরকারি ত্রাণ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক দলাদলির অভিযোগ রয়েছে। তার ফলে যাদের প্রয়োজন রয়েছে তারা ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রান্তিক মানুষ গুলো তাকিয়ে রয়েছে সরকারের দিকে। যদি সরকার একটা ঘর বাঁধার সাহায্য করে। ফ্রেজারগঞ্জ স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে কিন্তু না আছে ডাক্তার না খোলে দরজা। এই মানুষগুলোকে গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে ভরসা করে থাকতে হচ্ছে।