বহু মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে এই লড়াই দেখতে ভিড় জমান। প্রাকৃতিক নিয়মে দুটি কাড়াকে মুখোমুখি দাঁড় করালে তাদের মধ্যে লড়াই শুরু হয়ে যায়। শক্তিশালী কাড়া অপর কাড়াকে পরাজিত করতে পারলেই জয় নিশ্চিত হয় কাড়া মালিকের।
আরও পড়ুন: সুশান্তের সঙ্গে অঙ্কিতার ‘পবিত্র রিশতা’ কেন ভাঙে? এত বছর পর প্রেম ভাঙা নিয়ে বিস্ফোরক নায়িকা
advertisement
এই কাড়া লড়াইয়ের জন্য কাড়াদের প্রস্তুত করতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। লড়াইয়ের কাড়াকে এক বছর আগে থেকে লাঙ্গল টানা, গাড়ি টানার মতো কাজ করতে দেওয়া হয় না। এই কাড়াকে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। বর্ষার শেষ থেকে আশ্বিন অবধি ভোরে শিশিরে কাড়া চোরাই দেওয়া হয়। এরপর তাকে নামানো হয় লড়াইয়ের ময়দানে। শীতের দিনে মানভূমির মানুষদের অন্যতম বিনোদনের মাধ্যম এই কাড়া লড়াই।
আরও পড়ুন: কুকুরের মালকিন বনাম প্রাক্তন IAS, লিফটের ভিতর ভয়ঙ্কর কাণ্ড! ভাইরাল ভিডিও দেখুন
এ বিষয়ে কাড়া লড়াইয়ের আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে , পুরুলিয়া জেলার ঐতিহ্য এই কাড়া লড়াই। এই লড়াই দেখতে ভিন জেলার সহ ভিন রাজ্য থেকেও বহু মানুষ ভিড় জমান। মানভূমির মানুষদের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম এটি। তাই কোনও ভাবেই যেন এই কাড়া লড়াইকে আগামী দিনে কালিমালিপ্ত না করা হয় তারও আবেদন রাখেন তাঁরা। এ লড়াই দেখার জন্য দর্শকদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য সমস্ত দিক থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তাঁরা।
ঝাড়খণ্ড ও বাংলার সীমান্ত এলাকায় কাড়া লড়াই শীতের একটি অন্যতম বিনোদন। এই উৎসবের সূচনা ঠিক কবে হয়েছিল তার হদিশ মেলেনি। তবে মানভূমে গোটা শীতজুড়ে চলতে থাকে এই কাড়া লড়াই। রীতিমতো উৎসবের চেহারা নয় লড়াইয়ের ময়দান। বহু জায়গায় কাড়া লড়াইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঐতিহ্য মেনে পুরুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায় এই কাড়া লড়াই।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি