নানা অসুবিধার কারণে দক্ষিণ মুলুক ছেড়ে ফের নিজের ঘর অন্ডালে ফিরে এসেছিলেন অশ্বিনী কুমার। কিন্তু বেকার তো বসে থাকা যায় না। তবে কী করবেন, সেটাও বুঝে উঠতে পারছিলেন না। শেষমেষ দু নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে খুলে ছিলেন একটি চায়ের দোকান। নাম দিয়েছিলেন বিটেক চা ওয়ালা। এই নামেই করেছে কামাল।
আরও পড়ুন- শুধু জোটের জয় নয়,এই চার কারণে তৃণমূলের চিন্তা বাড়াবে সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল
advertisement
২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অন্ডালের এই চায়ের দোকান আপাতত বেশ ভাইরাল। বিটেক চা ওয়ালার চা খেয়ে মুগ্ধ এখন বহু মানুষ। চা খেতে এখন যাত্রাপথে দোকানের সামনে দেখা যাচ্ছে গাড়ির লাইন।
দুই নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই অন্ডাল থানার অদূরে আসানসোল থেকে কলকাতার যাওয়ার পথে অন্ডাল থানা পার করেই বাঁ দিকে তাকালেই নজরে পড়বে বিটেক চা ওয়ালার সাইনবোর্ড।
বছর ২৬ এর অশ্বিনী কুমারের পিতৃভূমি বিহারের বেগুসারাই। কিন্তু জন্মভূমি হল অন্ডাল এর কাজরা। তাঁর বাবা পেশায় ইঁটের ব্যবসায়ী । বাড়িতে রয়েছে মা, বাবা, দুই বোন ও এক ভাই।
২০১১ সালে কাজোড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেন অশ্বিনী। তার পরে বীরভূমের পলিটেকনিক কলেজ পাশ করে ২০১৬ মেকানিক্যাল নিয়ে ডিগ্রি অর্জন। তারপর ব্যাঙ্গালোরে বেসরকারি বাইক তৈরীর কারখানায় সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদে কাজে যোগ দেন অশ্বিনী কুমার।
আরও পড়ুন- সাগরদিঘিতে কং প্রার্থী বাইরনের জয়, বিধানসভায় খুলল খাতা! বড় ব্যবধানে ধরাশায়ী TMC
অশ্বিনী কুমার জানিয়েছেন, ঠিক সেই সময় মাথায় আসে একটু অন্যরকম ভাবে ব্যবসা করার। তাই শুরু চা দোকান। চায়ের প্রায় ৭ থেকে ৮ রকম ভ্যারাইটি নিয়ে শুরু হয় তাঁর পথ চলা।
তাঁর এই পদক্ষেপকে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করেছে পরিবার। বাড়িতে বসেই নিজের হাতে নানা ধরনের চা তৈরি করে বাড়ির লোকেদের খাওয়ানো।
১০ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে চায়ের দাম। এর মধ্যে চকোলেট চা, এলাচি চা, বাটার চা ও কেশর চা অতি বিখ্যাত হয়ে উঠেছে এলাকায়। তবে বি.টেক চাওয়ালা যুবকের হাতে সাধারণ চা খেয়েও পাওয়া যায় চরম তৃপ্তি, দাবি চা প্রেমী মানুষের।
Nayan Ghosh