বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে টহলদারির সময় জওয়ানরা আনুমানিক প্রায় ২ কিলো ৩০০ গ্রাম ওজনের সোনার বাট সহ এক ভারতীয় পাচারকারীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। সূত্রের দাবি, বাংলাদেশি পাচারকারীরা কাঁটাতার পেরিয়ে সোনা ভারতে পাঠানোর চেষ্টা করছিল। সেই সময় সতর্ক বিএসএফ জওয়ানরা ঘটনাস্থলে অভিযান চালালে ভারতীয় পাচারকারী ধরা পড়ে। তবে বাংলাদেশি পাচারকারীরা অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
advertisement
‘দেখি ম্যাডাম টিকিটটা?’ TTE কাছে আসতেই কানে ফোন নিয়ে এড়িয়ে যান শিক্ষিকা!…তার পর যা হল!
ঘটনার পর বিএসএফ আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পাশাপাশি, এই পাচারচক্রের সঙ্গে আর কে বা কারা যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া সোনার আনুমানিক বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকার কাছাকাছি বলে বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় দিন দিন বেড়েই চলেছে পাচারকারীদের আনাগোনা। বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে সক্রিয় হয়ে উঠছে পাচারচক্র। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোনার বিস্কুট, ফেনসিডিলসহ নানা ধরনের নিষিদ্ধ পণ্য পাচার হচ্ছে সীমান্ত পেরিয়ে। প্রায় প্রতিদিনই সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও পাচারকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে।
বেশ কয়েকজন পাচারকারীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসএফ। তবে সীমান্তবর্তী গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পাচারচক্রের সঙ্গে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি ও দালাল জড়িত থাকায় এই অবৈধ ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না। প্রশাসন জানিয়েছে, নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় রাতের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে যাতে পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য রোধ করা যায়।