পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূম জেলাতেও চাষাবাদ হয়। ওই জেলাগুলি থেকে সারাবছর দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে শাকসবজি আমদানি হয়ে থাকে। ফলে সবজির বাজার মূল্য অন্যান্য শহর গুলির থেকে তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই কম থাকে এখানে। শহরের বেনাচিতি বাজার, দুর্গাপুর বাজার ও মামড়া বাজার সহ বেশ কয়েকটি বাজারে সারাবছরই সবজি মেলে যথেষ্ট সস্তায়। কেবল পুজোর মরসুমে লক্ষ্মী পুজো পর্যন্ত সবজির বাজার মূল্য বৃদ্ধি পায় প্রতিবছরই। তবে এবারের লক্ষ্মী পুজোর সবজি বাজারও তেমন অগ্নিমূল্য ছিল না বললেই চলে। তবে এই লক্ষী পুজোর পর থেকেই বাজারে সবজি দাম নিম্নমুখী হয়ে যায়। কিন্তু অতিবৃষ্টির কারণে এবার খুব একটা নিম্নমুখী না হলেও প্রায় একই রকম রয়েছে।
advertisement
যেমন বাজারে আলু মিলছে ১৮-২০ টাকা কেজি দরে। পটল, ভেন্ডি করলা ও বরবটি মিলছে ৪০- ৫০ টাকা কেজি। লাউ ও কুমড়ো ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি। বাঁধাকপির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, প্রতি কেজি মিলছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে, ফুলকপির সাইজ অনুযায়ী ২০- ৪০ টাকা প্রতি পিস। এছাড়াও টমেটো প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা।অর্থাৎ সব সবজির দাম স্বাভাবিক ছন্দে থাকলেও বাজারে ব্যপক মূল্যবান হয়ে উঠেছে এবার বেগুন। গত কয়েকদিনে হঠাৎই বেগুনের পারদ চড়তে থাকে। বাজারে আমদানি নেই বেগুনের বলে দাবি পাইকারী ব্যবসায়ীদের।সবজির খুচরো ব্যবসায়ীদের দাবি বাজারে বেগুন আমাদানি নেই। একটানা অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে চাষীরা বেগুন চাষে ব্যপক লোকসান করেছে। বেগুনের যোগান কম।
বাঁকুড়া জেলার বেগুন চাষী আনন্দ বিশ্বাস জানান,ওই এলাকায় একরের পর একর জমিতে বেগুন চাষ হয়। এই বছরও নির্দিষ্ট সময়ে চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে গাছের গোঁড়া পচে গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে বেগুনের আকাল পড়েছে বাজারে।বাজার কমিটি সূত্রে জানা যায়, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি।কিন্তু এবার সেই দাম আকাশছোঁয়া।বাজারে এসে বেগুনের দাম শুনেই পিছু হাঁটছেন ক্রেতারা।তবে ফের নতুন ফসলের আমদানি হলেই স্বাভাবিক হবে বেগুনের দাম।
দীপিকা সরকার