বৃন্দার নেতৃত্বে সন্দেশখালির পথে রওনা দিয়েছিলেন কণীনিকা ঘোষ বোস, জাহানারা খানেরা। এর পর সন্দেশখালির গ্রামে গ্রামে ঘুরে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন বৃন্দা। তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমাদের সঙ্গে সন্দেশখালির মহিলাদের ফোনে কথা হয়েছে। তাঁরা আমাদেরকে এখানে আসতে বলেছিলেন। আমরা এসে এখানকার পরিস্থিতি দেখতে চাই। কিন্তু পুলিশ আমাদের সেখানে যাওয়ার পথ আটকাচ্ছে। আমরা গেলে নাকি আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি হবে এমনটাই জানানো হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। কিন্তু আমরা বলতে চাই, আইনশৃঙ্খলার অবনতি তো তখন হয়েছিল যখন শাহজানের বাহিনী মহিলাদের উপরে অত্যাচার করেছিল। তখন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। আর বলা হচ্ছে আমরা গেলে নাকি পরিস্থিতির অবনতি হবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ফের আগুন…বেড়মজুরে মহিলা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ! গ্রামে গ্রামে ঘুরে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টায় রাজীব কুমার
সোমবার রাতে সিপিএমের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দলের পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কলকাতায় আসছেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি শহরে পৌঁছন। তার পর রওনা হন সন্দেশখালির উদ্দেশে। এর আগেও, কণীনিকা, মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়েরা সন্দেশখালিতে যেতে গিয়ে বাধা পেয়েছিলেন। সন্দেশখালির ঘটনায় প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সন্দেশখালির গ্রামবাসীদের ‘উস্কানি’ দিয়ে বিক্ষোভ করিয়েছেন এই নিরাপদ সর্দারই। শিবু হাজরা যে, ১১৭ জনের নামে অভিযোগ করেছিলেন, সেই অভিযোগের এক নম্বরেই নাম ছিল এই নিরাপদ সর্দারের। আর নিরাপদকে গ্রেফতারের সাথে সাথেই মাঠে নেমে পড়ে সিপিএম।
বাঁশদ্রোণী থানার সামনে শুরু হয় বিক্ষোভ কর্মসূচি। একে একে সেখানে উপস্থিত হতে থাকেন বিকাশ ভট্টাচার্য, সৃজন ভট্টাচার্য, শতরূপ ঘোষ, সুদীপ সেনগুপ্তরা।৷ এরপর সেখানে হাজির হন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সেখান থেকেই পরের দিন রাজ্যের সব থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। এর পর ওই এলাকায় পাঠানো হয় দলের গণ সংগঠনগুলিকে। ছাত্র, যুব, মহিলা সংগঠনের নেতৃত্ব সেখানে গেলে প্রশাসনের তরফে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ নেতৃত্বের। কলকাতায় মশাল মিছিল করা হয় এসএফআই কলকাতা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে। জেলায় জেলায় লাগাতার কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে৷