বাগপোতা হাইস্কুলে যাতায়াতের জন্য হালদারবেড়, শ্রীরামপুর, আটঘোড়া, পালংপুর গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের শিলাবতী নদী পেরোতে হয়। বন্যায় নদী পারাপারের একমাত্র কাঠের সেতু ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার কমে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে পরীক্ষা চলছে, তাই ঘুরপথে বা ঝুঁকিপূর্ণভাবে ড্রাম ও বাঁশের খাঁচা দিয়ে তৈরি ভেলা করে নদী পেরিয়ে বিদ্যালয়ে আসছিলেন ছাত্রছাত্রীরা।
আরও পড়ুনঃ টানা বৃষ্টিতে ভয়ানক চেহারা, ফুঁসছে ‘এই’ নদী! জারি করা হল লাল সতর্কতা
advertisement
ঘটনা জানাজানি হতেই তড়িঘড়ি নদীতে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত বন্ধ করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। নদীর অপরপ্রান্তের গ্রামের পড়ুয়াদের পরীক্ষার জন্য আলাদা পরীক্ষাকেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে কাঠের সেতু ভেঙে যাওয়ায় হালদারবেড় গ্রামের বাসিন্দারা চাষের কাজে নদী পারাপারের জন্য ড্রাম ও কাঠের খাঁচা দিয়ে ভেলা তৈরি করেছিলেন। সেই ভেলায় করেই ওই গ্রামের পড়ুয়াদের বাগপোতা হাইস্কুলে পরীক্ষা দিতে আসতে দেখা যায়। একথা সামনে আসার পর তড়িঘড়ি স্কুলের তরফ থেকে নদীর অপরপ্রান্তে শ্রীরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী পরীক্ষাকেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুনঃ বর্ষা এলেই বাড়তে থাকে আতঙ্ক, কাটোয়ার ‘এই’ গ্রামবাসীরা কীভাবে দিন কাটান শুনলে চোখে জল আসবে!
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, দ্রুত ভাঙা সেতুটি মেরামত করা হোক। নাহলে স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা হ্রাস পাবে। যদিও ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, সেতু মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হলেও নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় কাজ সম্ভব হয়নি। জল কমলে ফের সেতু মেরামতের কাজ শুরু হবে। সব মিলিয়ে নদী পারাপারের সমস্যা কবে মেটে আপাতত সেদিকেই নজর সকলের।