জেলার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ইটভাটাগুলি প্রায়ই বন্ধের মুখে ছিল, লক্ষ লক্ষ ইট তৈরি করে মজুত করে রাখলেও তা বিক্রি না হওয়ায় ধুঁকছিল ইট শিল্প। একদিকে ভাল মাটির অভাব। সব অঞ্চলের মাটি ইটের জন্য উপযুক্ত নয়। অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে বাড়ি তৈরির স্বপ্ন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যায়। আর তারপর আবার ইটের সাবস্টিটিউট হিসেবে মার্কেট ছেয়েছে এখন সিমেন্টের ব্লক ও ইট। সুতরাং সবদিক দিয়ে মার খাচ্ছিল মাটির তৈরি ইটশিল্প। তবে একটা গোটা শিল্প তো আর ধ্বংস হয়ে যাবে না তাই ফের ফিরল নিজের ছন্দে। সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় আনা হবে প্রাপকদের। দুই কিস্তির মাধ্যমে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের মধ্যে থাকা প্রাপকদের।
advertisement
সেই মতো প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তি টাকা ঢুকতে শুরু করতেই কিছুটা হলেও মুখ তুলেছিল ইট ভাটার মালিকেরা। বাড়ি তৈরির জন্য ব্যবহৃত ইট কিছুটা হলেও বিক্রি বেড়েছিল। কারণ বাড়ি বানাতে মাটির ইটের জুড়ি মেলা ভার। কিছুদিনের মধ্যেই আবারও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢুকবে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় থাকা প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে। আর এতেই নতুন দিশা দেখছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ইট ভাটার মালিকেরা। ইটভাটার মালিকদের দাবি বাড়ি তৈরির চাহিদা না থাকার ফলে বিক্রি কমেছিল ইটের, ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ইট শিল্প। এদিকে রাজ্যে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা ঘোষণা হতেই কিছুটা হলেও বিক্রি বেড়েছে ইটের। নতুন দিশা দেখছে ইট ভাটার মালিকেরা। চিমনিতে আবার শুরু ইট পোড়ান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সামগ্রিকভাবে, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ রাজ্যেই নয়, ভারতে ইটভাটার শিল্পের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে, যা আবাসন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের চাহিদার উপর নির্ভরশীল। তবে, শিল্পকে পরিবেশগত উদ্বেগ এবং বিকল্প নির্মাণ সামগ্রীর প্রতিযোগিতার মতো চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করতে হবে। সে সমস্ত দিক দিয়ে ইট শিল্প কতদিন মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকে সেদিকে একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। তবে সরকার যদি ইট শিল্প বাঁচাতে নিজ উদ্যোগে সহযোগিতা করেন তাহলে হয়তো প্রাচীন এই ইটশিল্প নিজ ঐতিহ্যে বাঁচবে।





