TRENDING:

মুখ থুবড়ে পড়েছিল ইট শিল্প, সরকারের এক ঘোষণাতেই ফিরল ছন্দে! নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন ভাটা মালিক, শ্রমিকরা

Last Updated:

স্বপ্নের বাড়ি তৈরিতে প্রয়োজন ইট। সে উচ্চবিত্ত হোক বা মধ‍্যবিত্ত ইট ছাড়া বাড়ি বানানো অসম্ভব। আর সেই ইট বানিয়ে আবার পেটের খিদে মেটে শ্রমিকদের।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
শাহপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, মিজানুর রহমান: স্বপ্নের বাড়ি তৈরিতে প্রয়োজন ইট।সে উচ্চবিত্ত হোক বা মধ‍্যবিত্ত ইট ছাড়া বাড়ি বানানো এখানে অসম্ভব। আর সেই ইট বানিয়ে আবার পেটের খিদে মেটে শ্রমিকদের। একজনের স্বপ্ন পূরণের জন‍্য আর একপক্ষের পেটের ভাত জোটে। তাই একসময় ইট শিল্পের রমরমা ছিল। উপকৃত হতেন ব‍্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। তারপর ভাল মাটির অভাব, দ্রব‍্যমূল‍্য বৃদ্ধির ফলে বাড়ি বানানোর চাহিদা কমে যাওয়ার ফলে থমকে যায় এই শিল্প। নীরব চিমনিগুলো মাথা তুলে কেবল দাঁড়িয়ে থাকত কিন্তু এবার বন্ধের মুখ থেকে ফিরছে শিল্প। ইটের চাহিদা আবার বাড়ছে ফলে নতুন করে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর দিশা দেখাচ্ছে ইট শিল্পকে।
advertisement

জেলার বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ইটভাটাগুলি প্রায়ই বন্ধের মুখে ছিল, লক্ষ লক্ষ ইট তৈরি করে মজুত করে রাখলেও তা বিক্রি না হওয়ায় ধুঁকছিল ইট শিল্প। একদিকে ভাল মাটির অভাব। সব অঞ্চলের মাটি ইটের জন‍্য উপযুক্ত নয়। অন‍্যদিকে ক্রমবর্ধমান দ্রব‍্যমূল‍্য বৃদ্ধির ফলে বাড়ি তৈরির স্বপ্ন মধ‍্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যায়। আর তারপর আবার ইটের সাবস্টিটিউট হিসেবে মার্কেট ছেয়েছে এখন সিমেন্টের ব্লক ও ইট। সুতরাং সবদিক দিয়ে মার খাচ্ছিল মাটির তৈরি ইটশিল্প। তবে একটা গোটা শিল্প তো আর ধ্বংস হয়ে যাবে না তাই ফের ফিরল নিজের ছন্দে। সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় আনা হবে প্রাপকদের। দুই কিস্তির মাধ্যমে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের মধ্যে থাকা প্রাপকদের।

advertisement

আরও পড়ুন: বোতল কুড়িয়ে সংসার চালানো স্বামীর কাঁধে স্ত্রীর মৃতদেহ! বরাভূম স্টেশনে হৃদয়বিদারক ঘটনা, শেষমেশ কীভাবে সৎকার, পাশে দাঁড়ালেন ‘ইনি’

View More

সেই মতো প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তি টাকা ঢুকতে শুরু করতেই কিছুটা হলেও মুখ তুলেছিল ইট ভাটার মালিকেরা। বাড়ি তৈরির জন্য ব্যবহৃত ইট কিছুটা হলেও বিক্রি বেড়েছিল। কারণ বাড়ি বানাতে মাটির ইটের জুড়ি মেলা ভার। কিছুদিনের মধ্যেই আবারও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢুকবে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় থাকা প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে। আর এতেই নতুন দিশা দেখছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ইট ভাটার মালিকেরা। ইটভাটার মালিকদের দাবি বাড়ি তৈরির চাহিদা না থাকার ফলে বিক্রি কমেছিল ইটের, ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ইট শিল্প। এদিকে রাজ‍্যে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা ঘোষণা হতেই কিছুটা হলেও বিক্রি বেড়েছে ইটের। নতুন দিশা দেখছে ইট ভাটার মালিকেরা। চিমনিতে আবার শুরু ইট পোড়ান।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
সানশেড ভেঙে সাংঘাতিক দুর্ঘটনা! চাপা পড়ল শিশু-সহ ৫
আরও দেখুন

সামগ্রিকভাবে, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ রাজ‍্যেই নয়, ভারতে ইটভাটার শিল্পের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে, যা আবাসন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের চাহিদার উপর নির্ভরশীল। তবে, শিল্পকে পরিবেশগত উদ্বেগ এবং বিকল্প নির্মাণ সামগ্রীর প্রতিযোগিতার মতো চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করতে হবে। সে সমস্ত দিক দিয়ে ইট শিল্প কতদিন মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকে সেদিকে একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। তবে সরকার যদি ইট শিল্প বাঁচাতে নিজ উদ‍্যোগে সহযোগিতা করেন তাহলে হয়তো প্রাচীন এই ইটশিল্প নিজ ঐতিহ্যে বাঁচবে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
মুখ থুবড়ে পড়েছিল ইট শিল্প, সরকারের এক ঘোষণাতেই ফিরল ছন্দে! নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন ভাটা মালিক, শ্রমিকরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল