নিম্নচাপের বৃষ্টি এবং ক্রমাগত বৃষ্টির কারণে ফুলে ফেঁপে উঠেছে ডুলং নদী। নদীতে রয়েছে যথেষ্ট জলের স্রোত। স্নান করার সময় হঠাৎ করে দু’জন ছাত্র তলিয়ে যায়। নদীঘাটের স্নান করতে থাকা স্থানীয় এক বাসিন্দা একজন স্কুল পড়ুয়াকে জল থেকে তুলতে পারলেও অপর আরেকজন স্কুল পড়ুয়া তখন জলে তলিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, আট জনঝাড়গ্রাম শহরের একটি স্কুলের দশম শ্রেণীর পড়ুয়া। তাদের সকলেরই বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের বামদা এলাকায় ।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জামবনিথানার পুলিশ এবং তাদের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
advertisement
শুক্রবার বিকেল থেকেই নদীতে সন্ধান চালানো হয় জলে তলিয়ে যাওয়া দশম শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়ার।নদীতে তলিয়ে যাওয়া দশম শ্রেণীর পড়ুয়ার বাবা মিঠু মাঝি বলেন,\”স্কুল টাইমে বাড়িতে ভূগোলের প্রজেক্ট আছে বলে বেরিয়ে ছিল। বাড়িতে কাজ থাকার কারণে আজ আমি সিএল নিয়ে বাড়িতেই ছিলাম। জামবনি থানার সাব-ইন্সপেক্টর আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানানোর পরেই আমি জানতে পারি\”। তিনি আরওবলেন, বাড়িতে স্কুল যাববলে বেরিয়েছিল চিল্কিগড় বেড়াতে আসববলে একবারও জানায়নি। চিল্কিগড় বেড়াতে আসবে জানলে আমি কখনোই পাঠাতাম না। সে নিজের গান-বাজনা এবং পড়াশোনা নিয়েই থাকততেমন বাইরের কারওসঙ্গে মেলামেশা ছিল না কারণ তার সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে। থানা থেকে যখন বলল আমার ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না আমি তৎক্ষণাৎ এখানে ছুটে চলে এসেছি ।
শুক্রবার দুপুরে ডুলুং নদীতে তলিয়ে যাওয়া স্কুল পড়ুয়ার শনিবার সকাল পর্যন্ত কোন হাদিস পাওয়া যায়নি। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পক্ষ থেকে স্পিডবোট নামিয়ে ডুলুং নদীতে চালানো হচ্ছে চিরুনি তল্লাশি নাবালক স্কুল পড়ুয়ার সন্ধানে।
বুদ্ধদেব বেরা