অবশেষে সসম্মানে এবং যত্ন সহকারে মালিকের হাতে এই পিতলের মূর্তি ফিরিয়ে দিল রেল পুলিশ। মানবিকতার এক নজির গড়ল রেল পুলিশ। নির্দিষ্ট নিয়ম মোতাবেক মালিকের হাতে হস্তান্তর করা হয় এই মূর্তিগুলো। যদিও আধ্যাত্মিকতার এক গন্ধ পাচ্ছেন বেশ কয়েকজন।
আরও পড়ুনঃ ফের বড় পদক্ষেপ! অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের পর এবার নিয়োগপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু
advertisement
এমন ঘটনার সাক্ষী পশ্চিম মেদিনীপুর। জানা গিয়েছে গত ৩০ আগস্ট মেদিনীপুর স্টেশন এর বুকিং কাউন্টারের কাছে একটি ঝুড়ি লক্ষ্য করেন একজন আরপিএফ কর্মী। সন্দেহ হওয়ায় ঝুড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তবে অবশেষে সেখানেই পিতলের তিনটি মূর্তি দেখতে পান তারা। একটি লাল ঝুড়ির মধ্যে তিনটি মূর্তি ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১৫ হাজার টাকা। বিকেল নাগাদ এই ঝুড়িটিকে রেল পুলিশ উদ্ধার নিয়ে আসে। জানা যায়, এই মূর্তিগুলি আসলে দেবতার। সসম্মানে নজরদারিতে রাখা হয় গোপালের তিনটি মূর্তি। তবে এই ঘটনার কয়েকদিন পর নিদির্ষ্ট মালিকের হাতে ফিরিয়ে দেয় রেল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন নিয়ম মেনে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে এই পিতলের মূর্তিগুলো। রেল পুলিশ সর্বদা সাধারণ যাত্রীদের সেবায় রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা সোমা দাস ট্রেন ধরতে যাওয়ার সময় টিকিট কাউন্টারের কাছে ঝুড়ি ফেলে যায়। সোমা দাস পুলিশকে জানিয়েছে, মেদিনীপুর স্টেশন এর বুকিং কাউন্টারের কাছে তার মেয়ে ভুলবশত এই পিতলের মূর্তি সহ ঝুড়িটিকে ফেলে ট্রেন ধরতে গিয়ে চলে যায়। তবে এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পরে তা আর পায়নি। তবে অবশ্য বেশ কয়েকজনের দাবি, আধ্যাত্মিকতার কারণেই গোপাল নিজেই ফিরে গেছে তার মালিকের কাছে। এই তত্ত্ব মানতে নারাজ বিজ্ঞানকর্মীরা। বিজ্ঞানকর্মী শিক্ষক প্রতাপ পন্ডা বলেন, “ভুলবশত এক মহিলা ফেলে যান এই মূর্তিগুলো। তবে রেল পুলিশ নিজেদের কর্তব্য পালন করেছেন। এই মূর্তিগুলি যথাযথভাবে ফিরিয়ে দিয়েছেন মালিকের কাছে। এর মধ্যে আধ্যাত্মিকতার কোনও বিষয় নেই, বরং রয়েছে রেল পুলিশের প্রগাঢ় দায়িত্ব।”
অবশ্য রেল পুলিশে এমন দায়িত্ব ও কর্তব্যকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই মহিলা থেকে সাধারণ মানুষ। তবে কয়েক হাজার টাকার দামি পিতলের গোপালের মূর্তি ফিরে পেয়ে খুশি এই ট্রেন যাত্রী।