জানা যাচ্ছে, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন প্রবীরবাবু। চলতি বছর এপ্রিল মাসে ভয়ানক অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘনঘন জ্ঞান হারাতে শুরু করেন, হাঁটাচলার ক্ষমতাও ছিল না। বিভিন্ন জায়গায় ডাক্তার দেখিয়ে অবশেষে শিশু মঙ্গল হাসপাতাল হয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন।
আরও পড়ুনঃ বোনাস নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগ! পুজোর আবহে বিক্ষোভ, সমস্যা না মিটলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
advertisement
দু’মাস সেই হাসপাতালেই শ্রীরামপুরের এই প্রৌঢ়ের চিকিৎসা চলে। চিকিৎসকেরা নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বুঝতে পারেন প্রৌঢ়ের মগজে এক কোষী অ্যামিবা বাসা বেঁধেছে। প্রবীরবাবু বলেন, কথা জরিয়ে যেত, কোনও জ্ঞান থাকত না। তবে ঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। চিকিৎসার পর এখন নিজের বাড়িতেই রয়েছেন তিনি।
প্রবীরবাবুর স্ত্রী পম্পা কর্মকার বলেন, আমরা প্রথমে কিছুই বুঝতে পারিনি। হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসকেরাই বললেন, কোনও কারণে ওনার মস্তিষ্কে অ্যামিবা আক্রমণ করেছে। সেই কারণেই শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিয়েছে। একদমই বিছানা থেকে উঠতে পারছিলেন না। সেই অবস্থা থেকে এখন অনেকটাই ভাল আছেন, সবার সঙ্গে কথা বলছেন, হাঁটাচলা করছেন। তবে চিকিৎসকেরা টাইম কলের জল খেতে বারণ করেছেন। উল্লেখ্য, কেরলে এই ‘ব্রেন ইটারে’ অনেকের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাতেও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন।