গত ১৯ জুন রাত্রি বেলায় কাঁকরতলা থানার অন্তর্গত ডেমুড়িয়া গ্রামে নেহা গোস্বামী নিখোঁজ হয়। মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় পরের দিন সকাল বেলায় নেহা গোস্বামীর বাবা প্রমোদ গোস্বামী কাঁকরতলা থানায় মেয়ের নামে একটি মিসিং ডাইরী করেন। তার পরই কাঁকরতলা থানার ওসি শামিম খানের তৎপরতায় খোঁজ শুরু হয় নেহার। খোঁজ শুরু হতেই জানা যায় ঝাড়খণ্ডের নলা থানার অন্তর্গত খ্রিস্টপুর গ্রামের অভিজিৎ ভূঁইয়ের সাথে পলাতক নেহা গোস্বামী।
advertisement
তারা দু'জনে এক সঙ্গে পালিয়ে যায় কলকাতায়। তারপরই নেহা গোস্বামী ও অভিজিৎ ভূঁইকে কলকাতা থেকে কাঁকরতলা থানায় নিয়ে আসে কাঁকরতলা থানার পুলিশ। তার পরই তারা দু'জন ভালোবেসে নিজের ইচ্ছেই পালিয়ে যাওয়ার কথা জানাই থানায়। আর তা জানাতেই দু'জনের পরিবারকে জানানো হয় সমস্ত বিষয়টি। নেহা ও অভিজিতের বাড়িতে সেই কথা জানতেই তাদের বিয়ের সম্মতি দেয় দুই পরিবার থেকেই।
আরও পড়ুন: পথে বেরোলেই কান হাত, বনগাঁ স্কুল পড়ুয়াদের এ কোন নতুন সমস্যা! বিরক্ত শহরবাসী
আর ঠিক তার পরই কাঁকরতলা থানার ওসি শামিম খান ও দুই পরিবারের সদস্যদের সাক্ষী রেখে কাঁকরতলা থানার কালি মন্দিরেই বিয়ে হয় দু'জনের। বিয়ের পর তাদের শুভেচ্ছা জানান থানার কর্মীরা। নেহা গোস্বামীর বাবা প্রমোদ গোস্বামী বলেন , "১৯ জুন রাত থেকে মেয়েকে বাড়িতে পাওয়া না গেলে খোঁজাখুঁজি শুরু করি আমরা। তার পরও খুঁজে না পেলে কাঁকরতলা থানায় মেয়ের নামে একটি মিসিং ডাইরী করি। তার পরই থানার বড়োবাবু খোঁজ শুরু করলে জানতে পারি আমার মেয়ে ঝাড়খণ্ডের একটি ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে কলকাতায়। তাদের দু'জনকে কাঁকরতলা থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তার পরই আমাদের ও ছেলের বাড়ির লোককে থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। তার পর সমস্ত বিষয়টি আমাদের জানাতেই আমরা ও ছেলের বাড়ির লোক তাদের সম্পর্ক মেনে নিই। থানার মন্দিরে আমাদের ও থানার পুলিস কর্মীদের সামনেই বিয়ে হয় ওদের।"
Supratim Das