এইরকমই নকল টিকিটের কাণ্ডারীদের পর্দা ফাঁস করল পুলিশ। বই ছাপানোর আড়ালে সেখানে চলত নকল লটারির টিকিট ছাপানোর কাজ। ঘটনাটি হুগলির ডানকুনির। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সূর্য গোচর, চন্দ্র গ্রহণ, মহাদুর্লভ সংযোগ…হোলির দিন থেকে ৪ রাশির গোল্ডেন টাইম শুরু! সোনাদানার বন্যা
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডানকুনির এলাকায় বেশ কয়েক মাস ধরে গোডাউন ভাড়া নেওয়া হয়েছিল বই ছাপানো হবে বলে। সূত্রের খবর, এবি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি কোম্পানি ভাড়া করেছিল ওই জায়গাটি প্রিন্টিং প্রেস রাখবে বলে। তবে বই ছাপানোর আড়ালে চলছিল নকল লটারি টিকিট ছাপানোর কাজ।
যে টিকিট পাওয়া গিয়েছে তাতে নম্বর নেই। তবে পুলিশের সন্দেহ অন্য কোথায় ওই টিকিটে নম্বর ফেলা হত। জাল টিকিট এরপর বিভিন্ন জায়গায় চলে যেত। যারা সাধারন ক্রেতা তারা টেরও পেত না জালা টিকিট কিনছেন তার।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দিল্লি রোডের ধারে ডানকুনি পুরসভার ২নং ওয়ার্ডের পাড়ডানকুনি এলাকায় একটি গোডাউনে অভিযান চালায় পুলিশ। কয়েক হাজার নকল লটারির টিকিট বাজেয়াপ্ত করে। কয়েক হাজার নকল লটারির টিকিট-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাদের শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে দুজনকে পুলিশ হেফাজত ও তিনজনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন আদালত। এই চক্রে আরওকারা জড়িত খতিয়ে দেখছে চন্দননগর পুলিশের তদন্তকারীরা।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্তরা রাজাবাজার টিটাগর এলাকার বাসিন্দা।
২ নং ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর সেখ আসরফ আলি জানিয়েছেন, তাঁর ওয়ার্ডে এই জাল লটারির কারবার চলছে তা তিনি জানতেন না। পুলিশ জানতে পেরে ব্যবস্থা নিয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জাল লটারি ছাপা হচ্ছে জানতে তারা ওই কারবার বন্ধ করে দিতেন। তারা জানতেন বই ছাপা হয়।
রাহী হালদার