কুলতলির মৈপীঠে জঙ্গলের মধ্যে গত ৬৫ বছর ধরে হয়ে আসছে বনবিবির এই আরাধনা। তিনদিন ধরে এলাকায় চলবে উৎসব। এই পুজোকে ঘিরে লাখো মানুষের ঢল নামে। পুজো দিতে নৌকা করে ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গলের পথে রওনা দেন দর্শনার্থীরা। এই কটা দিন ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। ঝুঁকি নিয়েই নির্ধারিত সংখ্যার থেকে বেশি যাত্রীকে নৌকায় তুলে বনবিবির পুজোয় নিয়ে যাওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: মহিলার তলপেট থেকে বেরোল ৩ কেজির টিউমার! নজির গড়ল মফস্বলের হাসপাতাল
এই প্রসঙ্গে কুলতলির যুগ্ম বিডিও সৌরভ দাশগুপ্ত বলেন, এই মেলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। আমরা সতর্ক আছি যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে। তবে আগামিদিনে এই মেলার জন্য আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য মৈপীঠের প্রত্যন্ত গ্রাম নগেনাবাদ। নদীতে মাছ-কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলায় জীবন চলে গিয়েছে অনেকের। বাঘের দেবতা হল বনবিবি। মৎস্যজীবিদের কথায়, এই বনবিবিকে পুজোয় সন্তুষ্ট করতে পারলে বাঘের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
বনবিবিকে সন্তুষ্ট করতে পুজো উপলক্ষে জীবিত মোরগ জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। আজমলমারি জঙ্গলে বনবিবির পুজো হয়। বাঘের খাদ্য হিসেবেই জীবিত মোরগকে জঙ্গলে ছাড়া হয়।
সুমন সাহা