স্কুলে বোমা মারা! রীতিমতো হতবাক স্কুলের শিক্ষক থেকে আরম্ভ করে স্কুলের আশেপাশের বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ছাদের চারদিকে বোমার স্প্লিন্টার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ব্যারাকপুর পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল আশীষ মৌর্য। তিনি এসে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেন। সন্ধ্যার আগে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার অলক রাজোরিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসেন। তিনি জানান, '‘ চারদিকের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখছি। তদন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।ফরেন্সিক টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে।'রাত পর্যন্ত বোমা মারার কারণ জানা যায়নি।কেউ গ্রেফতার হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন - Ind vs SA: ম্যাচের আগে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল! স্টেডিয়ামে কেটে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ, নেই জল
'টিটাগড় ফ্রি ইন্ডিয়া হাইস্কুল 'এর পেছনে দুদিকে দুটি উঁচু বাড়ি রয়েছে।একদিকে রয়েছে আলমগীরের বাড়ি। ঘটনার পর তার বাড়ি থেকে রাজমিস্ত্রি এবং শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদের আটক করেছে পুলিশ। কিন্ত পুলিশ সূত্রে খবর, যে বোমটি স্কুলের ছাদে ছোঁড়া হয়েছিল। সেটি যে অভিমুখে পড়েছে, সেটি আলমগীরের বাড়ি থেকে ছোঁড়া সম্ভব নয়। ঠিক অন্যদিকে 'কুইক অ্যাপার্টমেন্ট' নামে আরেকটি বহুতল রয়েছে।সে দিক থেকেই ছোঁড়া হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
স্কুলের অভিভাবকদের বক্তব্য, তারা তাদের ছেলেমেয়েদের সোমবার থেকে স্কুলে পাঠাবেন না।তবে স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ কামাল খান বলেন, স্কুলে ছাত্রদের দুটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে।দুটি গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রেষারেষি চলছে।এটা ওই ছাত্রদের কোন একটি গ্রুপের কাজ হতে পারে।ওই ছাত্ররা বহিরাগতদের এনে স্কুলের সামনে আড্ডা দেয়।এই ঘটনা স্থানীয়রা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রেজাউল আবদিন সিদ্দিকীকে জানিয়েছিলেন। তিনি থানায় জানিয়েছিলেন কিনা! কারো জানা নেই। স্কুলে বোম পড়ার মত ঘটনায়, স্কুলের যাদের সম্পর্ক আছে,তারা ব্যতীত বাইরের কারোর কোন যোগ পাচ্ছেনা বলে দাবি স্থানীয়দের।
SHANKU SANTRA