এই পৌষ মেলা চলবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বিশ্বভারতীর আয়োজনে এ বছর পৌষ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে পূর্বপল্লীর মাঠে। আর এই সময় বোলপুর শান্তিনিকেতন এলে কোথায় গাড়ি রাখবেন বা কীভাবে পৌঁছবেন মেলা চত্বরে! এই কয়েকদিন যানজট এড়াতে বিশেষ ট্রাফিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে।
বোলপুর স্টেশন বা কাছারিপট্টি থেকে যে সমস্ত পর্যটকেরা গাড়ি করে মেলা প্রাঙ্গণে পৌঁছাতে চান তাঁরা চৌরাস্তা ছাড়িয়ে চিত্রা মোড় থেকে বাঁদিকে ঘুরে সার্কাস ময়দান প্রাঙ্গনে গাড়ি রেখে পায়ে হেঁটে মেলা পর্যন্ত পৌঁছতে পারবেন।
advertisement
পাশাপাশি যে সমস্ত পর্যটকরা টোটো করে পৌঁছতে চাইছেন, তাঁরা জনতা ফার্মেসির ডান দিকে মিসন কম্পাউন্ড এর ভেতর দিয়ে লাল পুল ছাড়িয়ে টিভি সেন্টারের পার্কিং পর্যন্ত আসতে পারবেন। এরপরে পায়ে হেঁটে আপনাদের মেলা প্রাঙ্গনে পৌঁছাতে হবে। চিত্রা মোড় পেরিয়ে আর কোন টোটো বা গাড়ি আসতে পারবে না। এর পাশাপাশি ত্রিশুলা পট্টি থেকে যাঁরা আসছেন তাঁদের পাওয়ার হাউস হয়ে লালপুল পেরিয়ে টিভি সেন্টারের পার্কিং পর্যন্ত এসে পায়ে হেঁটে মেলা প্রাঙ্গণে যেতে পারবেন।
যে সমস্ত পর্যটকরা সোনাঝুরির হাট পরিদর্শনের জন্য টোটো, ছোট গাড়ি অথবা মোটরসাইকেলে করে যাবেন, শুধুমাত্র শ্যামবাটি মোড় থেকে সোনাঝুরির হাট পর্যন্ত ওয়ান ওয়ে হয়ে যেতে পারবেন। যাত্রী নামিয়ে দেওয়ার পর সমস্ত টোটো অথবা গাড়ি নিমাই দাস এবং শংকরডাঙ্গা পার্কিংয়ে গাড়ি পার্ক করতে পারবেন। অথবা সোজা চিপকুঠি ক্যানেলের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
কলকাতা থেকে যে সমস্ত পর্যটকেরা বোলপুর শান্তিনিকেতনের এই পৌষ মেলা পরিদর্শনের জন্য আসতে চাইছেন তাঁরা সূরুল মোড় থেকে কালিসায়ের হয়ে বাম দিকে বিনয় ভবন মাঠের পার্কিংয়ে গাড়ি রেখে মেলা প্রাঙ্গণে পৌঁছে যেতে পারেন। বোলপুর শান্তিনিকেতনের মধ্যে বিনয় ভবনে একমাত্র বড় পার্কিং যেখানে বড় বাস বা যে কোনও ধরনের চারচাকা গাড়ি পার্কিং করে রাখা যেতে পারে।
বিনয় ভবন থেকে সাঁতারপুকুর পার্কিং পর্যন্ত টোটো চলাচল করবে। শ্যামবাটির কাছে লালমাঠে একটি পার্কিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। এর পাশাপাশি যে সমস্ত পাস হোল্ডার ব্যক্তিরা মেলা প্রাঙ্গণে পৌঁছতে চাইছেন তাঁরা বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় দফতর পর্যন্ত গাড়ি নিয়ে আসতে পারবেন। অন্যদিকে যারা গুরুপল্লী বা বোলপুর টুরিস্ট লজ মোড় হয়ে আসতে চাইছেন পাস হোল্ডাররা তাঁরা ফুল বাগান হয়ে ভাষা ভবনের দিকে কেন্দ্রীয় দফতর পর্যন্ত নিজের গাড়ি নিয়ে আসতে পারবেন।
আরও পড়ুন- নিশাকে সরানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বালিগঞ্জ আসনে নয়া প্রার্থীর নাম ঘোষণা হুমায়ুন কবীরের
জরুরি পরিষেবা এবং প্রশাসনিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি এবং যাদের বাড়ি বা দোকান নো এন্ট্রি জোনের মধ্যে অবস্থিত তাদের জন্য বিশেষ পাস এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেন্ট্রাল লাইব্রেরী গেট থেকে ইন্টারন্যাশনাল গেস্টহাউস হয়ে ফুলবাড়ী এলাকা রেড ট্রাফিক জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। জনতা ফার্মেসি থেকে জীবন ফার্মেসি পর্যন্ত, রয়েল বেঙ্গল মোড় থেকে লজ মোড় পর্যন্ত এলাকা ইয়েলো ট্রাফিক জোন হিসাবে নির্ধারিত করা হয়েছে। মেলা পরিদর্শনের জন্য কোনও ধরনের পাসের প্রয়োজন নেই তবে যদি জরুরী পরিষেবা প্রশাসনিক কাজ অথবা নো এন্ট্রি জোনের বাসিন্দা হন তাহলে অবশ্যই পাস প্রয়োজন।





