এর ফলে ট্রেন ধরতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে পর্যটক থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীদের। সব শ্রেণীর ট্রেন যাত্রীদের একটাই দাবি, পূর্বরেল কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে স্টেশন চত্বরে এই বিপত্তি দূর করুক। প্রসঙ্গত, অমৃত ভারত প্রকল্পের অধীনে আধুনিক এবং নিত্যনতুন রূপে বোলপুর-শান্তিনিকেতন স্টেশনকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। নির্মিত হয়েছে প্রশস্ত যাত্রী ছাউনি, বিশ্রামাগার,সুসজ্জিত রেলচত্বর।
advertisement
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, একটি নির্দিষ্ট বড় টোটো স্ট্যান্ড তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই সমস্ত ব্যবস্থা করেও বর্তমান চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।স্ট্যান্ড শুধু নামেই রয়েছে স্ট্যান্ড থাকা সত্ত্বেও চালকদের একাংশ যত্রতত্র টোটো পার্কিং করছেন।স্টেশনের মূল প্রবেশপথ, ফুটপাত এমনকী, প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার রাস্তায় অনেকে টোটো রাখছেন।
যাত্রীদের, বিশেষ করে প্রবীণ, শিশু ও ভারী লাগেজ বহনকারীরা চরম অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই কারণে অনেক ক্ষেত্রে ট্রেনের সময় হয়ে গেলেও রাস্তায় টোটোর উপদ্রব থাকায় যাত্রীদের দৌড়ঝাঁপ করে প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতে হচ্ছে। যাত্রীদের ট্রেন মিস করার মতো ঘটনাও ঘটছে। সকাল থেকে রাত্রি, বহু নিত্যযাত্রী এই অনিয়মের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন- শুধু দক্ষিণ ভারত নয়, রাম সেতু রয়েছে এই বাংলার জেলাতেও, জানেন কোথায়! শুনে চমকে উঠবেন
বোলপুর-শান্তিনিকেতন স্টেশনকে ঢেলে সাজানোর আগে স্টেশন চত্বরে রিকশা ও টোটোচালকদের অবাধ বিচরণ ছিল। তাঁদের দাদাগিরির কারণে যানজট ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। ফলে যানজট ও বিশৃঙ্খলায় জেরবার হতেন পর্যটক থেকে নিত্যযাত্রীরা। সেই পরিস্থিতি বদলাতে ২০২৩ সালে অমৃত ভারত প্রকল্পের অংশ হিসেবে বড়সড় রদবদল আনা হয় স্টেশন এলাকায়। তৈরি হয় প্রশস্ত রাস্তা, স্টেশনে ঢোকার মুখে ডানদিকে আলাদা করে বিশাল জায়গাজুড়ে টোটোস্ট্যান্ড করা হয়।
এছাড়া, প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে বিশাল শেড, যাত্রী বিশ্রামাগার ও পরিচ্ছন্ন শৌচালয়ও নির্মাণ করা, হয়।কিন্তু, পরিকাঠামো উন্নত হলেও সচেতনতার অভাবে আবার পুরনো সমস্যার পুনরাবৃত্তি ঘটছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। সকলেই চাইছেন অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করা হোক।
সৌভিক রায়