এদিকে নৌকার মালিক গোপাল বৈদ্য কোথায়, খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে তিনি অসুস্থ হয়ে ভর্তি আছেন হাসপাতালে। তাই ঘাটে আসতে পারছেন না। কাশীনগরের নৌকা সাঁকো দিয়ে সারাদিনে যাতায়াত করেন ২০০ থেকে ২৫০ জন ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে গোপাল বৈদ্যের অনুপস্থিতিতে কিছুজন চাইছেন ঐতিহ্য হিসাবে এই নৌকা থাকুক, আবার কিছুজন চাইছেন নৌকার বদলে পাকা সেতু হোক।
advertisement
আরও পড়ুন: ৮৭ ভোটকেন্দ্রে মোবাইল নেটওয়ার্ক কাজ করবে না, সবেধন নীলমণি আরটি সেট
৪০ বছর আগে গোপাল বৈদ্যের বাবা জ্যোতিষ বৈদ্য মথুরাপুর-২ ব্লকের কাশীনগরে এই নৌকা আনেন। তখন মণি নদীর জলের ধারা এসে পুষ্ট করত এই শাখা খালটিকে। নৌকায় করেই চলত পারাপার। পরে কালক্রমে এই শাখা খালে জলের প্রবাহ কমে আসতে থাকে। ক্রমেই মজে যেতে থাকে এই খাল। পানায় আটকে যায় জলপ্রবাহ। কমে আসে নৌকা চালানোর মত পরিসর। বাধ্য হয়ে নৌকাটিকে আড়াআড়ি করে খালের মধ্যে স্থাপন করা হয়। তার উপর কাঠের পাটাতন দিয়ে নৌকাটিকে বানিয়ে ফেলা হয় সাঁকোয়।শুখা মরসুমে ব্যবহার করা হয় ১ টা নৌকা, বর্ষার সময় ২ টো নৌকা জুড়ে চলে পারাপার। কিন্তু গোপাল বৈদ্যের অনুপস্থিতিতে আগামীতে এই নৌকা-সাঁকোতে পারাপার করা যাবে কিনা তা এখন প্রশ্নচিহ্নের মুখে। আর কতদিন চলবে এই নৌকা-সাঁকো সেই প্রশ্নই এখন ঘুরছে লোকের মুখে মুখে।
নবাব মল্লিক